কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং মঙ্গলবার জানিয়েছেন যে সরকারের ‘স্বচ্ছতা স্পেশাল ক্যাম্পেইন ৫.০’ দেশের পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত স্ক্র্যাপ সামগ্রী বিক্রির মাধ্যমে এই অভিযানে মোট ৪,০৮৫ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জন হয়েছে।
জিতেন্দ্র সিং এক্স (X)-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, “স্বচ্ছতা স্পেশাল ক্যাম্পেইন ৫.০ নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় পরিচ্ছন্নতা অভিযান! ২০২১ সাল থেকে স্ক্র্যাপ বিক্রিতে ৪,০৮৫ কোটি টাকা আয় হয়েছে। দেশের স্বচ্ছতার চেতনাকে জাগিয়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ।”
দুই ধাপে পরিচালিত অভিযান:
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, স্বচ্ছতা স্পেশাল ক্যাম্পেইন ৫.০ দুটি ধাপে পরিচালিত হয়েছে —
প্রস্তুতি পর্ব: ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত
বাস্তবায়ন পর্ব: ২ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত
এই ক্যাম্পেইনটি দূরসংযোগ দফতর (DoT) ও তার বিভিন্ন ফিল্ড ইউনিট, যেমন লাইসেন্সড সার্ভিস এরিয়া (LSA), কন্ট্রোলার অব কমিউনিকেশন অ্যাকাউন্টস (CCA) এবং পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস (PSU)-এর মধ্যে ব্যাপকভাবে চালানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রকের অংশগ্রহণ: Swachhata Special Campaign Revenue
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, পররাষ্ট্র মন্ত্রক (MEA) তার সমস্ত অফিস, ভারতীয় মিশন ও দূতাবাস, এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসগুলিকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি নথি পুনর্বিবেচনা ও সরলীকরণ, পুরনো অভিযোগ নিষ্পত্তি, সংসদ সদস্য ও রাজ্য সরকারের রেফারেন্সের উত্তর প্রদান, এবং সংসদীয় আশ্বাসসমূহ নিষ্পত্তি করা।
ই-ওয়েস্ট ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান:
এই ক্যাম্পেইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ইলেকট্রনিক বর্জ্য (e-waste) সনাক্ত করা এবং নিরাপদে নিষ্পত্তি করা। পাশাপাশি, অফিসগুলির পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, প্রশাসনিক কার্যক্রমের উন্নতি এবং অফিস চত্বরকে সুন্দর করা এই উদ্যোগের অংশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রক বিশ্বজুড়ে ভারতীয় মিশন ও পোস্টগুলিতে স্বচ্ছতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রচারমূলক কার্যক্রম চালাবে।
সরকারের সামগ্রিক উদ্যোগ:
‘স্বচ্ছতা স্পেশাল ক্যাম্পেইন ৫.০’ হল ভারতের সরকারের বৃহত্তর উদ্যোগের একটি অংশ, যার মূল লক্ষ্য পরিচ্ছন্নতা, দক্ষ প্রশাসন ও টেকসই শাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করা — শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ভারতীয় অফিসগুলির মধ্যে।
এই অভিযানের মাধ্যমে সরকার কেবলমাত্র রাজস্ব বৃদ্ধি নয়, বরং ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের মূল বার্তাকে আরও সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।


