স্বাধীনতার আগে থেকেই ভারতীয় রেল (Indian Railways) দেশের সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত শুরুটা হয়েছিল ইংরেজদের হাত ধরে তার কারণ তৎকালীন ইংরেজ সরকার রেলের গাড়ি করে এদেশ থেকে বিভিন্ন মূলধন এবং খনিজ পদার্থ নিজেদের দেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তবে ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারতীয় রেল ইংরেজদের শাসন থেকে বেরিয়ে আসে ফলে হয়ে ওঠে এক রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি।
বর্তমানে ভারতীয় রেল সারাবিশ্বের চতুর্থ সবথেকে বড় নেটওয়ার্ক প্রতিদিন প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করেন ভারতীয় রেলের মাধ্যমে। যদিও ভারতীয় রেলের মূল আয় যাত্রীবাহী গাড়ি চালিয়ে নয় বরং পণ্যবাহী গাড়ি চালিয়ে রেলের আয় হয়। কিন্তু তাতেও সাধারণ মানুষদের কথা মাথায় রেখে একের পর এক সুবিধা নিয়ে আসছে ভারতীয় রেল। অন্যদিকে দেশের প্রবীণ নাগরিক থেকে শুরু করে শারীরিক প্রতিবন্ধী সকলের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় রেল।
যা চলে আসছে বহু যুগ ধরেই। তবে অনেকেই জানেন না বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রেও ভারতীয় রেল দেয় বিপুল পরিমাণে ছাড় যার মধ্যে অন্যতম হলো যক্ষা অর্থাৎ টিবি। প্রত্যেক বছর প্রায় কয়েক হাজার ভারতীয় যক্ষা রোগে আক্রান্ত হন আর চিকিৎসার জন্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হয় তাদের। সেক্ষেত্রে ভারতীয় রেল ফাস্ট এসি সেকেন্ড এসি এবং থার্ড এসিতে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ হারে ভাড়া মুকুব করে যক্ষা রোগীদের ক্ষেত্রে।
অন্যদিকে রোগীর দেখাশোনার জন্য একজন সেবকের ভারতেও একই ছাড় দেয় ভারতীয়দের। তাছাড়া রয়েছে ক্যান্সার যেখানে ভারতীয় রেল থার্ড এসি এবং সেকেন্ড এসিতে পুরোপুরিভাবে ভাড়া মুকুব করে তাছাড়া রোগীর দেখাশোনার জন্য সেবক এর ভাড়াতেও ৭৫ শতাংশ ভাড়া মুকুব করে ভারতীয় রেল। ঠিক একইভাবে কিডনি ডায়ালাইসিস এবং হৃদ যন্ত্র প্রতিস্থাপনের রোগীদের ক্ষেত্রেও একই ভাবে ছাড় দেয় ভারতীয়দের।