পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে আজকাল সবজির দাম অনেকটাই বাড়ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফলমূলের দাম বেড়ে চলেছে, যা সাধারণ মানুষকে কিছুটা চিন্তিত করছে। আজকের বাজার পরিস্থিতিতে আমরা দেখে নেব কিছু জনপ্রিয় সবজির দাম এবং গত কয়েক দিনে তাদের দাম বাড়ার কারণ।
পেঁয়াজের দাম বর্তমানে ৩৬ টাকা কিলো রয়েছে। ছোট পেঁয়াজের দাম ৬৬ টাকা কিলো পর্যন্ত উঠেছে, যা সাধারণ বাজারে ৭৬ টাকা থেকে ৮৪ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কিছু বাজারে এই দাম ₹১০৯ পর্যন্ত পৌঁছেছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পেছনে মূলত উৎপাদন কমে যাওয়া এবং বৃষ্টিপাতের অভাবের কারণে সাপ্লাই সংকট রয়েছে। টমেটোর দাম এখন ২০ টাকা কিলো, কিন্তু অনেক বাজারে ২৩ টাকা থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কিছু এলাকায় দাম ৩৩ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক গরম আবহাওয়া এবং উৎপাদন কমে যাওয়া টমেটোর দামের বৃদ্ধির কারণ। কাঁচা লঙ্কা দাম ৪৫ টাকা কিলো। বর্তমানে বাজারে ৫২ থেকে ৫৭ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। কিছু বাজারে দাম ৭৪ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এভাবে সবজি ও মশলাদার পণ্যগুলোর দাম বেড়ে যাওয়ায় মসলাপ্রেমীদের জন্য কিছুটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বীটরুটের দাম ৪২ টাকা কিলো, এবং বাজারে ৪৮ থেকে ৫৩ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এই সবজির দাম সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা বেড়েছে এবং এখন ৬৯ টাকা পর্যন্ত দাম পৌঁছেছে।
আলুর দাম বর্তমানে ২৬ টাকা কিলো, তবে বাজারে এটি ৩০ টাকা থেকে ৩৩ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কিছু বাজারে আলুর দাম ৪৩ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। আলুর দামের এই বৃদ্ধির পেছনে খরচ বৃদ্ধি এবং পরিবহন সমস্যা থাকতে পারে। কাঁচা কলার দাম ৯ টাকা কিলো। বর্তমানে এটি ১০ থেকে ১১ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে, এবং দাম ১৫ টাকা পর্যন্ত যেতে পারে। কলার দাম বৃদ্ধির কারণ অনুকূল আবহাওয়ার অভাব এবং উৎপাদন কম হওয়া। আমলকীর দাম ৮৫ টাকা কিলো। বর্তমানে বাজারে ৯৮ টাকা থেকে ১০৮ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এবং কিছু বাজারে ১৪০ টাকাতে পর্যন্ত পৌঁছেছে। এটি এখন উচ্চমূল্যে বিক্রি হওয়ার কারণ হল সিজনের শেষ সময় এবং কম উৎপাদন। ক্যাপসিকামের দাম ৪৮ টাকা কিলো, যা বাজারে ৫৫ টাকা থেকে ৬১ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দাম কখনও কখনও ৭৯ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে।লাউ এর দাম ৩৪ টাকা কিলো এটি বর্তমানে ৩৯ টাকা থেকে ৪৩ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এবং কিছু বাজারে ৫৬ টাকাতে পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের বাজারে সবজির দাম বাড়ানোর একাধিক কারণ রয়েছে। সম্প্রতি উষ্ণতার পারদ বৃদ্ধি, পরিবহন সমস্যার পাশাপাশি অসময়ে আঘাত করা বৃষ্টিপাত এবং উৎপাদনের ঘাটতির কারণে সাপ্লাই চেইনে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। কৃষকেরাও সঠিক সময়ে ভালো ফলন পাচ্ছেন না, যা বাজারে দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্ত কারণে, প্রতিদিনের বাজারে পণ্যদরের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। তবে এই পরিস্থিতি কবে শান্ত হবে, তা নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। বাজারে আগের মতো দাম কমার আশা কিছুটা দুরূহ হতে পারে, কিন্তু ভোক্তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠতে পারে।