পূর্বাহ্নের অনিশ্চিত সূচনার পর শুক্রবার ভারতীয় শেয়ার বাজার আবার সবুজে ফিরেছে। ৩০ কোম্পানির বিএসই সেনসেক্স ৮৩,৯৩৭.৬৩ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে, যা প্রায় ৫০০ পয়েন্টের উত্থান। অন্যদিকে নিফটি ২৫,৬৯৬.৬০ পয়েন্টে শেষ হয়েছে, যা প্রায় ১০০ পয়েন্টের বৃদ্ধির সূচক।
প্রাথমিক পতন, পরবর্তীতে পুনরুদ্ধার:
দীপাবলির আগে বাজার শুরু হয়েছিল নেতিবাচকভাবে। সকালবেলা সেনসেক্স ৮৩,৩০০ পয়েন্টে নেমে আসে এবং ১৬৩.৮৩ পয়েন্ট কমে যায়, নিফটি ২৫,৫৫২.৭০ পয়েন্টে খোলার সঙ্গে সঙ্গে ৩২.৬০ পয়েন্ট পতন দেখায়। তবে দিনের মধ্যে বাজার দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ৩০-শেয়ারের বিএসই সূচক ১৫১.৮৯ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮৩,৬২৫.০৫-এ পৌঁছায়, এবং নিফটি ৩১.৬০ পয়েন্ট উপরে ২৫,৬১৭.৩০ পয়েন্টে অবস্থান করে।
বিদেশি বিনিয়োগের প্রভাব: Sensex Nifty ends in green
ফরেন ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টররা (FII) বৃহস্পতিবার ৯৯৭.২৯ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয় করেছে। এদিকে ডোমেস্টিক ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টররা (DII) নেট ক্রেতা হিসাবে ৪,০৭৬.২০ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন। এই বিনিয়োগ প্রবাহ বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
মার্কেট বিশ্লেষণ:
মেহতা একুইটিজ লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (রিসার্চ) প্রশান্ত তাপসে বলেন, “ফরেন বিনিয়োগকারীদের নতুন আগ্রহ, মার্কিন ফেডের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) ২০২৬ অর্থবছরের জন্য ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশে পুনর্মূল্যায়ন এবং ক্রুড তেলের দাম $৫৭.৩৫ প্রতি ব্যারেলের আশেপাশে অবস্থান—এই সবই বাজারে ইতিবাচক সেন্টিমেন্ট তৈরি করেছে।”
লাভ বিক্রয় ও সংক্ষিপ্ত সুপারিশ:
সেনসেক্স এবং নিফটি যখন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়, তখন অনেক বিনিয়োগকারী তাদের মুনাফা সুরক্ষার জন্য কিছু শেয়ার বিক্রি করেছেন। তবে দিনের শেষে বাজার আবার সবুজে ফিরে আসে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব, সুদের হার নীতির সম্ভাব্য পরিবর্তন এবং অব্যাহত বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ আগামী দিনে বাজারকে স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
শেষ কথা:
শেয়ার বাজারের এই উত্থান বিনিয়োগকারীদের জন্য উৎসাহব্যাঞ্জক বার্তা। বিশেষ করে দীপাবলির সময় এই ধরণের বৃদ্ধি বিনিয়োগের মনোভাবকে আরও প্রফুল্ল করে তোলে।