SEBI Investigates: সেবি-র নজরে আইপিওতে অনিয়ম

SEBI Chairperson Madhabi Puri Buch

মুম্বই: বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতের বাজারে একাধিক সংস্থা প্রথমবার শেয়ার ছেড়েছে (IPO)। সেই পথে তোলা হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। কিন্তু তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটির ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাঙ্কারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে জানিয়েছে সেবি (SEBI)। বাজার নিয়ন্ত্রকের চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ জানিয়েছেন, তিনটি মার্চেন্ট ব্যাঙ্কারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। যার মধ্যে রয়েছে কোনও সংস্থার শেয়ারে কত আবেদন জমা পড়েছে সেটা বাড়িয়ে দেখানো। লগ্নিকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কথা চিন্তা করে সেবি-র নজরে এখন ওই সব অভিযুক্ত ব্যাঙ্কাররা এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ওই তিন সংস্থার নাম জানাতে চাননি তিনি।

Advertisements

বুচ আরও জানান, ইতিমধ্যেই এই ধরনের অভিযোগের তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেও লেনদেন করা হয়েছে। কোনও ক্ষেত্রে সংস্থার আইপিও বেশি সফল হয়েছে বোঝাতে সেগুলিতে আর্জির সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। এমন ঘটনার উদ্দেশ্য সাধারণ লগ্নিকারীদের তাদের শেয়ারে প্রতি উৎসাহী করা। তাছাড়া এতে আইপিও-র দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে সেই শেয়ার এক্সচেঞ্জে নথিবদ্ধ হয়। তবে এর পরেও আইপিও-তে সংস্থার শেয়ারমূল্য বেঁধে দেওয়ার পরিকল্পনা তাঁদের নেই বলেই জানিয়েছেন বুচ।

   

তাঁর বক্তব্য, নিয়ন্ত্রক চায় অনিয়ম যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে। সে কারণে লগ্নিকারীদের স্বার্থে তাঁরা ওই সব সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। পাশাপাশি তৈরি করবেন নতুন নীতিও।

Advertisements

গত বছর এসেছে ৫৮টি নতুন ইস্যু হয়েছে। তারমধ্যে ৪০টি ক্ষেত্রে ১০ গুণের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ১৬টির ক্ষেত্রে তা ৫০ গুণের বেশি। যেগুলিতে বাড়তি আগ্রহ দেখা গিয়েছে, তাদের বেশির ভাগই অনামী সংস্থা। উল্লেখ্য, আইপিও-তে সংস্থাকে পরামর্শ দেওয়া, প্রস্তাবনাপত্র তৈরি, শেয়ারের দামে মূল্যবন্ধনী স্থির করা, লগ্নিকারীদের কাছে পৌঁছনোর কাজ করে থাকে মার্চেন্ট ব্যাঙ্কারগুলি।