দেশবাসীর বড় স্বস্তি, খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হ্রাসে রেকর্ড

মধ্যবিত্তের জন্য স্বস্তির খবর। জুলাই মাসের খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার কমল। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুসারে জুলাইয়ে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ৩.৫৪ শতাংশে নেমেছে। ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ…

Retail inflation drops near 5 year low

মধ্যবিত্তের জন্য স্বস্তির খবর। জুলাই মাসের খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার কমল। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুসারে জুলাইয়ে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ৩.৫৪ শতাংশে নেমেছে। ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মূল্যবৃদ্ধির হারকে ৪ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য পূরণ সম্পূর্ণ। কেন্দ্রের দাবি, গত পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল গত জুলাই মাস।

কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৪ সালের জুলাই মাসের জন্য অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে প্রতি বছর মুদ্রাস্ফীতির হারে তীব্র পতন হয়েছে, যা গত ৫৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।’

   

অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২৪ সালের জুলাই মাসের জন্য ৩.৫৪ শতাংশ। গ্রামীণ এবং শহরের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির হার যথাক্রমে ৪.১০ এবং ২.৯৮ শতাংশ।

Honda Activa-র গায়ে জ্বর বাড়াতে এ বছর পুজোয় লঞ্চ হচ্ছে Hero-র নতুন স্কুটার

২০২৪ সালের জুনে খুচরা মূল্যবৃদ্ধি ৫.৮ শতাংসের উপরে ছিল, যা গত চার মাসে মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ। তবে জুলাইয়ে মূল্যবৃদ্ধির হার কমে যায়। এক বছর আগে এই হার ছিল ৪.৮৭ শতাংশ। গত মে মাসে ৪.৭৫ শতাংশ। জুনে গোটা দেশের উদ্বেগ বাড়িয়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। শুধু আনাজেরই দাম বাড়ে ২৯.৩ শতাংশ হারে। দেশবাসীর প্রধান খাবার, চাল-গমের মতো সেই সব খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধি পৌঁছে যায় ৮.৭৫ শতাংশে। একমাত্র ভোজ্যতেল এবং চর্বি বাদে দাম বেড়েছিল প্রায় সব রকম খাবারের।

সোমবার সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স অনুযায়ী ২০২৪ এর জুলাই মাসের মূল্যবৃদ্ধির হার গত ৫৯ মাসের মধ্যে সবচেয় কম। অর্থাৎ প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে দ্রব্যমূল্য সবচেয়ে কম বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাম ও শহরের বাজার মিলিয়ে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার ৩.৫৪ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে মৃল্যবৃদ্ধির হার ২.৯৮ শতাংশ, অন্যদিকে শহরাঞ্চলে তা কিছুটা বেশি ৪.১০ শতাংশ। উল্লেখ্য, জুন মাসে মূল্যবৃদ্ধির সার্বিক হার পৌঁছে গিয়েছিল ৫ শতাংশে। মূল্যবৃদ্ধির হার কমার অন্যতম কারণ, খাদ্যপণ্যের দাম কমা, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।