সার্ক কারেন্সি নিয়ে মুদ্রাবাজার পেশী ফুলিয়ে দাঁড়াল ভারত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা লেনদেনে চমক। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি অর্থাত সার্ক (SAARC) সদস্যদের জন্য ভারত এনেছে সার্ক কারেন্সি (SAARC Currency Swap)। এই লেনদেনে ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে…

RBI 1 সার্ক কারেন্সি নিয়ে মুদ্রাবাজার পেশী ফুলিয়ে দাঁড়াল ভারত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা লেনদেনে চমক। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি অর্থাত সার্ক (SAARC) সদস্যদের জন্য ভারত এনেছে সার্ক কারেন্সি (SAARC Currency Swap)। এই লেনদেনে ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে সার্কভুক্ত দেশগুলো কারেন্সি সোয়াপের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। ভারতীয় মুদ্রাকে সমর্থনের জন্য দেশগুলো বিভিন্ন ছাড় পেয়ে থাকবে।

২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য সংকট মোকাবিলা করতে ব্যাক-আপ তহবিল সরবরাহের জন্য সার্ক কারেন্সি সোয়াপ ফেসিলিটি চালু করে ভারত। সেই প্রক্রিয়া এবার আরও গতি পেল।

   

RBI জানিয়েছে, সার্ক কারেন্সি সোয়াপ ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে একটি নতুন রুপি সোয়াপ উইন্ডো চালু করা হয়েছে। একটি পৃথক USD/Euro Swap Window এর মাধ্যমে US ডলার এবং ইউরোতে অদলবদল ব্যবস্থা অফার করতে থাকবে, যার সামগ্রিক পরিমাণ $2 বিলিয়ন হবে।

Stock Market: লক্ষ্মীবারে বাজার খুলতেই নয়া রেকর্ড! প্রথমবার সেনসেক্স ছুঁল ৭৯ হাজার

অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, সার্ক কারেন্সি সোয়াপের মাধ্যমে মুদ্রাবাজারে পেশী ফুলিয়ে দাঁড়াল ভারত। প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গে বা়ণিজ্যিক লেনদেন আরও বাড়তে বলে মনে করা হচ্ছে। সার্কভুক্ত দেশগুলো হলো, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।

কারেন্সি সোয়াপ প্রথম চালু হয় ১৯৮১ সালে বিশ্বব্যাংক ও আইবিএমের মধ্যে। এই লেনদেনে দুই দেশের দুই কোম্পানি বিনিময় হারের ঝুঁকি কমানো এবং অপেক্ষাকৃত কম সুদে দুই মুদ্রার অদলবদল সুবিধা থাকে। ২০০৮ সালে বিশ্বডোড়া আর্থিক সংকটের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ কিছু উন্নয়নশীল দেশকে এমন সুবিধা দিয়েছিল।