কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি (PM-KISAN) যোজনার পরবর্তী কিস্তি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন দেশের কোটি কোটি কৃষক। তবে এবার যাঁরা এখনও রেজিস্ট্রেশন করেননি, তাঁদের জন্য সরকারের তরফে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা—রেজিস্ট্রেশন না করলে ২,০০০ টাকার পরবর্তী কিস্তি মিলবে না। সরকার জানিয়েছে, এই প্রকল্পে যোগ্য কৃষকরা যে কোনো সময় রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
কারা এই যোজনায় যোগ্য?
পিএম-কিষান যোজনার ২০তম কিস্তি পাওয়ার জন্য আবেদনকারীদের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে—
আবেদনকারীকে ভারতের নাগরিক হতে হবে।
নিজের নামে চাষযোগ্য জমি থাকতে হবে।
ক্ষুদ্র বা প্রান্তিক কৃষক হতে হবে।
মাসে ১০,০০০ টাকার বেশি পেনশন পেলে তাঁরা অযোগ্য।
যাঁরা ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করেন, তাঁরাও এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত নন।
কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জমির মালিক এই সুবিধা পাবেন না।
আবেদন করার নিয়ম: PM Kisan registration mandatory
নতুন আবেদনকারীরা অনলাইনে pmkisan.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
1. হোমপেজে গিয়ে ‘New Farmer Registration’-এ ক্লিক করুন।
2. আধার নম্বর, রাজ্য, ও ক্যাপচা কোড দিন।
3. ওটিপি-র মাধ্যমে আধার ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ করুন।
4. এরপর নাম (আধার অনুযায়ী), ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, আইএফএসসি কোড, মোবাইল নম্বর ও জমির বিবরণ দিন।
5. আবেদন জমা দেওয়ার পর তা রাজ্যের নোডাল অফিসার যাচাই করবেন। অনুমোদন পেলে নাম যুক্ত হবে বেনিফিসিয়ারি তালিকায়।
কিভাবে জানবেন কিস্তি জমা পড়েছে কিনা-
ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘Know Your Status’ অপশনে ক্লিক করুন। আধার নম্বর বা রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে স্ট্যাটাস চেক করুন। পাশাপাশি ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক।
কবে মিলবে ২১তম কিস্তি?
খবরে জানা গেছে, নভেম্বরের প্রথমার্ধেই আসতে পারে পরবর্তী কিস্তির টাকা। যদিও সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তারিখ ঘোষণা করেনি। ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরের বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ২১তম কিস্তি আগেভাগে দেওয়া হয়েছে। কৃষি মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ৭ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৮.৫৫ লাখ কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১৭১ কোটি টাকা স্থানান্তর করেন।
নির্বাচনী বিধিনিষেধে কিস্তি বন্ধ হবে?
না। বিহারে নির্বাচন বিধি চালু থাকলেও আগেই অনুমোদিত প্রকল্প হওয়ায় পিএম-কিষানের টাকা দেওয়া যাবে। অর্থাৎ প্রক্রিয়াগত কাজ শেষ হলেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়বে।
কী এই পিএম-কিষান যোজনা?
এই প্রকল্পে যোগ্য কৃষকদের বছরে তিন কিস্তিতে মোট ৬,০০০ টাকা দেওয়া হয়—এপ্রিল-জুলাই, আগস্ট-নভেম্বর ও ডিসেম্বর-মার্চ পর্যায়ে। টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৯ সালের অন্তর্বর্তী বাজেটে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন, পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে তা বাস্তবায়িত হয়। বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (DBT) প্রকল্প হিসেবে স্বীকৃত।


