বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে চলেছে কেওয়াইসি-র নতুন নিয়মে, রইল বিস্তারিত তথ্য

কেওয়াইসি সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তন হওয়ায় একটি বড় অংশের মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারী ব্যক্তিরা কার্যকর হওয়া নতুন কেওয়াইসি নিয়মগুলি বুঝে ওঠার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন। ফলে এই মুহূর্তে…

KYC

কেওয়াইসি সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তন হওয়ায় একটি বড় অংশের মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারী ব্যক্তিরা কার্যকর হওয়া নতুন কেওয়াইসি নিয়মগুলি বুঝে ওঠার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন। ফলে এই মুহূর্তে তাদের কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, সেই বিষয়টি নিয়েও চিন্তিত তারা। বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে এই নয়া কেওয়াইসি সংক্রান্ত নিয়মগুলি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। নাহলে, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তবে বর্তমানে একজন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারী ব্যক্তির কেওয়াইসি স্ট্যাটাস কে তিনটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই তিনটি বিভাগ হল যথাক্রমে- বৈধ (validated), যাচাইকৃত (verified) এবং অন হোল্ড (on hold)। কোন বিভাগে এই ক্ষেত্রে কাদের রাখা হয়েছে? দেখে নিন-

   

নিয়ম অনুসারে, যে সমস্ত বিনিয়োগকারীদের ‘কেওয়াইসি ভ্যালিডেটেড’ রয়েছে, তাদের কোন আলাদা পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই। এই বিনিয়োগকারীরা খুব সহজেই তাদের সমস্ত লেনদেন চালাতে পারবেন। তবে, যাদের কেওয়াইসি ‘অন হোল্ড’ অবস্থায় রয়েছে তাদেরকে প্যান ও আধার ব্যবহার করে পুনরায় কেওয়াইসি প্রক্রিয়া যাচাই করা দরকার। এই প্রক্রিয়াটিকে ‘re-KYC’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পুনরায় কেওয়াইসি করা সম্পূর্ণ হলে তবেই তাঁরা কেওয়াইসি ভ্যালিডেটেড স্ট্যাটাস পেতে পারবে।

আবার যে সমস্ত বিনিয়োগকারীদের কেওয়াইসি স্ট্যাটাস রেজিস্টার্ড অথবা ভেরিফায়েড অবস্থায় রয়েছে তাদের বিনিয়োগের উপর এই প্রভাব কোনো ভাবেই পড়বে না। কিন্তু, তাঁরা যদি নতুন ভাবে কোন ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চান, সেই ক্ষেত্রে পুনরায় কেওয়াইসি ডকুমেন্ট জমা করতে হবে তাদের । কেওয়াইসি ডকুমেন্ট জমা করে পুনরায় কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করলে তবেই এই বিনিয়োগকারীরা নতুন ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে, যে সমস্ত বিনিয়োগকারীদের কেওয়াইসি স্ট্যাটাস অন হোল্ড অবস্থায় রয়েছে তাঁরা পুনরায় কেওয়াইসি সম্পূর্ণ না করা পর্যন্ত কোনরকম বিনিয়োগ সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন না।

আবার কখনও বিনিয়োগকারীর কেওয়াইসি স্ট্যাটাসকে তখনই ভ্যালিডেটেড হিসাবে ধরা হবে যখন তাঁর পরিচয় পত্র এবং ঠিকানার প্রমাণ থাকবে। বর্তমানে শুধুমাত্র প্যান ও আধারের মাধ্যমেই এই যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করা হচ্ছে। অন্য কোন নথি এই ক্ষেত্রে গ্রাহ্য করা হচ্ছে না। আবার যে সমস্ত বিনিয়োগকারীদের এখনও ‘re-KYC’ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি এবং তাদের কেওয়াইসি স্ট্যাটাস ভেরিফায়েড বা অন হোল্ড অবস্থায় রয়েছে তাদের দ্রুত এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞমহল। তবে তাদের সুবিধার কথা ভেবেই অনলাইন ও অফলাইন, দুইভাবেই এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে পারবেন।

এই মুহূর্তে কেওয়াইসি রেজিস্ট্রেশন এজেন্সিগুলির পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে 73% কেওয়াইসি রেকর্ড ভ্যালিডেটেড অবস্থায় রয়েছে। কেওয়াইসি রেজিস্টার্ড বা ভেরিফায়েড স্ট্যাটাসের অধীনে রয়েছে 15% অপরদিকে 12% রেকর্ড রয়েছে ‘অন হোল্ড’ স্ট্যাটাসের অধীনে। অর্থাৎ এখনও একটি বড় অংশের বিনিয়োগকারীদের পুনরায় কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা বাকি রয়েছে। সেই প্রক্রিয়া যত তাড়াতাড়ি সম্ভম সম্পন্ন করার বার্তা দিয়েছেন কেওয়াইসি বিশেষজ্ঞরা।