আজ দুপুরে সারা ভারতজুড়ে ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI) পরিষেবায় ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন হাজার হাজার ব্যবহারকারী। জনপ্রিয় ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম যেমন ফোনপে (PhonePe), গুগল পে (Google Pay) এবং পেটিএম (Paytm)-এ লেনদেন ব্যর্থ হয়েছে বলে একাধিক রিপোর্ট উঠে এসেছে।
ডাউনডিটেক্টর (Downdetector)-এর তথ্য অনুযায়ী, আজ দুপুর ১২টা নাগাদ হঠাৎ করেই ইউপিআই লেনদেন ব্যর্থতার রিপোর্টের পরিমাণ বেড়ে যায়। ব্যবহারকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং ডাউনডিটেক্টরের ওয়েবসাইটে অভিযোগ জানাতে থাকেন যে তারা টাকা পাঠাতে পারছেন না, টাকা কেটে যাচ্ছে কিন্তু প্রাপক পাচ্ছেন না, অথবা লেনদেন সম্পূর্ণই হচ্ছে না।
কলকাতা থেকে শুরু করে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু সহ দেশের একাধিক বড় শহরে এই সমস্যার প্রভাব পড়েছে। বহু ব্যবসায়ী, অনলাইন কেনাকাটার গ্রাহক এবং দৈনন্দিন ইউপিআই ব্যবহারকারী এই সমস্যার কারণে সমস্যায় পড়েছেন।
একজন ব্যবহারকারী টুইটারে লিখেছেন, “গুগল পে ব্যবহার করে টাকা পাঠাতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছি। টাকা কেটে নিচ্ছে কিন্তু প্রাপক কিছুই পাচ্ছেন না।” অন্য এক ব্যবহারকারী জানান, “ফোনপে-তে আজ সকাল থেকেই লেনদেন সম্পন্ন হচ্ছে না। অ্যাপ খুললেই লোডিং নেয়, তারপর ব্যর্থ দেখাচ্ছে।”
এই মুহূর্তে ঠিক কী কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে কোনো পরিষ্কার বক্তব্য আসেনি ইউপিআই পরিচালনাকারী সংস্থা ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI)-এর পক্ষ থেকে। তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা সার্ভার সংক্রান্ত সমস্যাই এই বিপর্যয়ের মূল কারণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
PhonePe, Google Pay এবং Paytm-এর পক্ষ থেকেও এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। যদিও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করেছে ধৈর্য ধরতে এবং জানান যে তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেহেতু ইউপিআই এখন দেশের প্রধানতম ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা, তাই এরকম হঠাৎ সার্ভার ডাউন বা প্রযুক্তিগত সমস্যার ফলে বিরাট প্রভাব পড়ে সাধারণ মানুষের ওপর। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয় ইউপিআই-এর মাধ্যমে, ফলে এইরকম বিভ্রাট অনেকের জীবনযাত্রাতেই সমস্যা সৃষ্টি করে।
বর্তমানে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট অ্যাপ সংস্থাগুলোর তরফ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে বলে জানা গেছে। ঠিক কখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি।