কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের জন্য স্বস্তির বার্তা! বাধ্যতামূলক CGHS কার্ড ইস্যু

নতুন করে সংশোধিত নির্দেশিকা অনুযায়ী, এখন থেকে কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য পরিকল্পনা (CGHS)-এর আওতায় পড়া সমস্ত যোগ্য কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য CGHS কার্ড পাওয়া বাধ্যতামূলক করা…

Mandatory CGHS Card Issuance for Central Government Employees

নতুন করে সংশোধিত নির্দেশিকা অনুযায়ী, এখন থেকে কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য পরিকল্পনা (CGHS)-এর আওতায় পড়া সমস্ত যোগ্য কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য CGHS কার্ড পাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যদি তাঁদের বেতন থেকে নিয়মিত CGHS-এর জন্য মাসিক চাঁদা কাটা হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, কর্মচারী নিজে আবেদন না করলেও কার্ড ইস্যু করা হবে তাঁর নামে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বড় সিদ্ধান্ত

The Financial Express-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করে সব মন্ত্রক ও বিভাগকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, যদি কোনো কর্মচারীর বাসস্থান CGHS ডিসপেনসারির আওতায় পড়ে এবং তাঁর বেতন থেকে CGHS চাঁদা কাটা হয়, তবে তাঁকে কার্ড ইস্যু করতে হবে অবিলম্বে ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে।

এই সিদ্ধান্ত বহু কর্মচারীর উপকারে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ বহু কর্মচারী রয়েছেন যারা নিয়মিত CGHS-এ চাঁদা দিচ্ছেন, অথচ কার্ডের আবেদন না করার কারণে প্রকৃত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

কার্ডের জন্য আর আলাদা করে আবেদন করার দরকার নেই

নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, CGHS এমন একটি বাধ্যতামূলক স্কিম, যা ওইসব কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁদের বসবাস CGHS ডিসপেনসারি কাভারেজ এলাকায় পড়ে। এই পরিস্থিতিতে, কর্মচারীর সম্মতি ছাড়াই তাঁর বেতন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাঁদা কাটা শুরু হয় এবং এর ফলে আলাদা করে CGHS কার্ডের জন্য আবেদন করার প্রয়োজন পড়ে না।

সংশোধিত নির্দেশিকায় এই পুরো প্রক্রিয়ার দায়িত্ব প্রশাসনিক শাখাগুলোর উপর ন্যস্ত করা হয়েছে, অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক বা বিভাগের প্রশাসনিক শাখা কর্মচারীদের CGHS কার্ড ইস্যুর ব্যবস্থা করবে।

যাঁরা বারবার জানানো সত্ত্বেও সাড়া দেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে পদক্ষেপের নির্দেশ
যদি কোনো কর্মচারী একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও CGHS কার্ড সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা না করেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের জানিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। এর ফলে কর্মচারীদের উপর থেকে এই দায়ভার সরে যাচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে বলা হচ্ছে।

বহু কর্মচারী উপকৃত হবেন এই নতুন নিয়মে

এই পরিবর্তন বহু কেন্দ্রীয় কর্মচারীর জন্য আশীর্বাদস্বরূপ হতে চলেছে। অনেকেই রয়েছেন যারা হয়ত জানেন না কীভাবে CGHS কার্ডের জন্য আবেদন করতে হয়, অথবা দপ্তরের জটিলতা বা সময়ের অভাবে আবেদন করতে পারেননি। তাঁদের জন্য এই নিয়ম যথেষ্ট সহায়ক হবে।
একইসাথে, স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার আরও স্বচ্ছতা ও গতি আনতে এই পদক্ষেপ কার্যকরী হবে বলে মনে করছে কেন্দ্র।

Advertisements

সরকারের পক্ষ থেকে পরিষেবা সরবরাহে গুরুত্ব

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার পরিষেবা সরবরাহের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও দ্রুত করতে চায়। কর্মচারী কল্যাণে সরকারের দায়বদ্ধতার একটি বড় নিদর্শন এটি। CGHS-এর সুবিধা যাতে প্রত্যেক যোগ্য কর্মচারী সহজেই পেতে পারেন, সে জন্য এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে।

সরকারের এই সিদ্ধান্ত আরও একবার প্রমাণ করে যে, কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের স্বাস্থ্যসেবা অ্যাক্সেসযোগ্য ও নিরবিচারে পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার বদ্ধপরিকর।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের এই নতুন নিয়ম একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে কর্মচারীরা সহজেই সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন এবং প্রশাসনিক বিলম্ব বা আবেদন প্রক্রিয়ার জটিলতা থেকে মুক্তি মিলবে। এই পরিবর্তন শুধু কর্মচারীদের সুবিধাই বাড়াবে না, বরং সরকারের দপ্তরগুলোকেও আরও দায়িত্বশীল ও কার্যকর করে তুলবে।

এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হলে CGHS-এর আওতায় থাকা স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থায় আরও গতি ও দক্ষতা আসবে, এবং সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও বিশ্বাসও বাড়বে— যা একটি সুস্থ কর্মক্ষম সরকারি বাহিনী গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।