নারীদের স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষমতায় সহায়তায় কর্ণাটকে মাসিক ছুটির অনুমোদন

কর্মক্ষেত্রে নারীর স্বাস্থ্য ও অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কর্ণাটক সরকার একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে যে, নারী কর্মীরা প্রতি মাসে একদিনের বেতনসহ ছুটি…

Karnataka women paid leave policy

কর্মক্ষেত্রে নারীর স্বাস্থ্য ও অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কর্ণাটক সরকার একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে যে, নারী কর্মীরা প্রতি মাসে একদিনের বেতনসহ ছুটি পাবেন। এই নীতি সরকারি দপ্তর, বহুজাতিক সংস্থা, আইটি খাত, গার্মেন্টস শিল্পসহ বেসরকারি খাতের সকল কর্মক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এই পদক্ষেপের ফলে কর্ণাটক দেশব্যাপী অগ্রগামী রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠল।

Advertisements

বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ:

নতুন নীতিটি ১৮ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়েছে। কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন ড. সপনা এস, ক্রাইস্ট ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রধান। তারা কর্মক্ষেত্রে নারীদের শারীরিক অসুবিধা, ক্লান্তি এবং মানসিক চাপ নিয়ে সমীক্ষা পরিচালনা করেছেন। কমিটি উল্লেখ করেছে, মাসিক সময়ে নারীরা প্রায়শই শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হন, যা তাদের কাজের সক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।

বিজ্ঞাপন

নীতির প্রভাব ও পরামর্শ: Karnataka women paid leave policy

সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মন্ত্রিসভা প্রস্তাবটি অনুমোদনের আগে উৎপাদনশীলতা, কর্মক্ষমতা এবং শিল্পক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের সম্ভাব্য প্রভাব বিশ্লেষণ করেছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস এবং আইটি খাতে বিপুল সংখ্যক নারী কর্মী রয়েছেন, তাই এই নীতি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নীতি চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, শিল্প সংস্থা এবং নারী কল্যাণ সংগঠনের মতামতও নেওয়া হয়েছে।

কর্মক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতি গড়ে তোলা:

প্রশাসনের মতে, এই উদ্যোগ কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলবে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করবে। সমাজকর্মী ও নারী অধিকার সংগঠনগুলোর মতে, এটি শুধুমাত্র স্বাস্থ্যগত সুবিধা নয়, নারীর মর্যাদা ও সমান কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। কর্ণাটকের এই উদ্যোগ অন্যান্য রাজ্যগুলোর জন্যও দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।