রুদ্ধশ্বাস প্রহর কাটছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। বিশ্বজুড়ে মহাকাশ বিজ্ঞানের মানমন্দির ও গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে নাওয়া খাওয়া কোনওরকমে চলছে। কী হয় কী হয় এমনই আলোচনা। যে চাঁদের অংশে কোনও দেশ যেতেই পারেনি সেখানে ভারতের রোবট বিজ্ঞানী প্রজ্ঞানকে নিয়ে চক্কর কাটছে বিক্রম। ভারতের এই চন্দ্রাভিযানের সবথেকে চর্চিত দিকটি হলো, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কেউই পারেনি নামতে। সর্বশেষ চেষ্টা করেছিল রাশিয়া। তাদের লুনা ২৫ ধংস হয়েছে। চোখের সামনে লুনার মৃত্যু দেখেছে প্রজ্ঞান। এবার তার পরীক্ষা। হয় জয়ের ইতিহাস না হয় পরাজয়ের গ্নানি এই সীমারেখায় দুলছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। চাঁদে এর আগে সফল অভিযান করেছিল অধুনালুপ্ত সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন। তাদের প্রতিপক্ষ ধনতান্ত্রিক আমেরিকা ও ‘কমিউনিস্ট’ দেশ চিন। তবে তাদের অভিযান ছিল চাঁদের উত্তর মেরু। আর মিশ্র অর্থনীতির দেশ ভারত বেছে নিয়েছে চাঁদের দক্ষিণ মেরু। চাঁদের এই অংশ ভয়াবহ। এখানেই সদ্য জ্বলে গেছে রাশিয়ার লুনা।
আর কয়েকটা ঘণ্টা! তারপরই সেই মুহূর্তটি আসতে চলেছে, যার জন্য শুধু ভারতের ১৪০ কোটি মানুষই অপেক্ষা করছে না, সারা বিশ্বও অপেক্ষা করছে। ভারতের মিশন চন্দ্রযান-৩ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ০৪ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে। বিক্রম ল্যান্ডারটি যখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখার কিছুক্ষণ পরে প্রজ্ঞান রোভারটি তার কাজ শুরু করবে। কিন্তু চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের ১৫ মিনিট আগে চন্দ্রযান-৩ এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিকাল ৫.৪৪ মিনিটে ISRO-এর মহাকাশ কেন্দ্র থেকে বিক্রম ল্যান্ডারের কাছে শেষ কমান্ড পাঠানো হবে, শুধুমাত্র এই কমান্ডটিই চূড়ান্ত এবং তার পরে বিক্রম ল্যান্ডারকে সবকিছু করতে হবে। অর্থাৎ অবতরণের জায়গা বেছে নেওয়া থেকে শুরু করে স্থলভাগে অবতরণ এবং প্রজ্ঞান বের হওয়া পর্যন্ত সব সিদ্ধান্ত ল্যান্ডারটি নিজেই নেবে। ISRO জানিয়েছে যে অবতরণের কিছুক্ষণ আগে এটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করবে।
Chandrayaan-3 Mission:
All set to initiate the Automatic Landing Sequence (ALS).
Awaiting the arrival of Lander Module (LM) at the designated point, around 17:44 Hrs. IST.Upon receiving the ALS command, the LM activates the throttleable engines for powered descent.
The… pic.twitter.com/x59DskcKUV— ISRO (@isro) August 23, 2023
বিক্রম ল্যান্ডার অবতরণের আগে শেষ ১৫ মিনিট, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ! তার মধ্যেই এই চারটি পর্যায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ:
প্রথম মোটামুটি ভাঙার পর্যায়: এটি শুরু হবে যখন চন্দ্রযান ৭৪৫.৫ কিলোমিটার দূরে এবং অবতরণ স্থান থেকে ৩০ কিলোমিটার উপরে থাকবে।
দ্বিতীয় অ্যাটিটিউড হোল্ড ফেজ: এটি ল্যান্ডিং সাইট থেকে ৩২ কিমি দূরে এবং ৭.৪ কিমি উচ্চতায় শুরু হবে।
তৃতীয় ফাইন ব্রেকিং ফেজ: এটি ল্যান্ডিং সাইট থেকে ২৮.৫২ কিমি এবং ৬.৮ কিমি উচ্চতায় শুরু হবে।
চতুর্থ টার্মিনাল ডিসেন্ট ফেজ: যেটি ল্যান্ডিং সাইট থেকে মাত্র ৮০০ থেকে ১৩০০ মিটার উচ্চতায় থাকবে। এই পর্বে চন্দ্রযান অবতরণস্থলে অবতরণ করবে।