ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ (Forex Reserves) ১৭ অক্টোবর সমাপ্ত সপ্তাহে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৭০২.২৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। রিজার্ভ বৃদ্ধিতে মূল ভূমিকা রাখছে দেশের স্বর্ণ রিজার্ভের বৃদ্ধি, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) ‘উইক্লি স্ট্যাটিস্টিকাল সাপ্লিমেন্ট’-এ প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়।
বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায়ই ভারতের সর্বোচ্চ রেকর্ড ৭০৪.৮৯ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করছে, যা সেপ্টেম্বরে ২০২৪ সালে ছোঁয়া হয়েছিল।
বৈদেশিক মুদ্রার বিস্তারিত:
রিজার্ভের প্রধান উপাদান বিদেশি মুদ্রা সম্পদ (Foreign Currency Assets – FCA) ৫৭০.৪১১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১.৬৯২ বিলিয়ন ডলার কম। অন্যদিকে, স্বর্ণের রিজার্ভ ১০৮.৫৪৬ বিলিয়ন ডলারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬.১৮১ বিলিয়ন ডলার বেশি। বৈশ্বিক অস্থিরতার প্রভাবে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণের দাম সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।
রিজার্ভ পর্যাপ্ততার মন্তব্য:
মুদ্রানীতি পর্যালোচনা বৈঠকের পর RBI গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা উল্লেখ করেছিলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ১১ মাসের পণ্য আমদানি নির্বাহ করার জন্য পর্যাপ্ত। সামগ্রিকভাবে ভারতের বাহ্যিক অর্থনীতি এখনও স্থিতিশীল, এবং RBI আত্মবিশ্বাসী যে দেশের বাহ্যিক দায়িত্বগুলি নির্ধারিত সময়ে পূর্ণ করা সম্ভব।
অতীতের রিজার্ভের প্রবণতা:
২০২৩ সালে ভারত প্রায় ৫৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ সংযোজন করেছিল, যা ২০২২ সালের ৭১ বিলিয়ন ডলারের পতনের পর বিপরীত প্রবণতা নির্দেশ করে। ২০২৪ সালে রিজার্ভ প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছিল। আর ২০২৫ সালের চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৫৩ বিলিয়ন ডলারের বৃদ্ধি হয়েছে।
RBI-এর কৌশল:
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা আর্থিক কর্তৃপক্ষের কাছে রাখা সম্পদ, যা প্রধানত রিজার্ভ মুদ্রায় যেমন মার্কিন ডলার, ইউরো, জাপানি ইয়েন এবং ব্রিটিশ পাউন্ডে থাকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রয়োজনে লিকুইডিটি পরিচালনার মাধ্যমে রূপি দর নিয়ন্ত্রণ করে। রূপি শক্তিশালী হলে ডলার কেনে এবং দুর্বল হলে বিক্রি করে, যাতে হঠাৎ মুদ্রার অবমূল্যায়ন প্রতিরোধ করা যায়।


