Fuel Stock List: কোন দেশে কত জ্বালানি মজুত? ভারতকে তেলে ডোবাতে পারে চিন

বর্তমান বিশ্বের যে দেশে জ্বালানি তেল যত বেশি সেই দেশের ক্ষমতাও তত বেশি। মধ্যপ্রাচ্য কেবল তেল বিক্রি করে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার…

Fuel Stock List

বর্তমান বিশ্বের যে দেশে জ্বালানি তেল যত বেশি সেই দেশের ক্ষমতাও তত বেশি। মধ্যপ্রাচ্য কেবল তেল বিক্রি করে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার মূল উৎস এই জ্বালানি তেলের মজুত(Fuel Stock)। কিন্তু কোন দেশের ভান্ডারে কতটা পরিমাণ তেল রয়েছে?

তেল উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশের তালিকায় প্রথমেই আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম। ২০২২ সালে আমেরিকার দিন প্রতি ২ কোটি ২১ লাখ ৩০০০ ব্যারেল তেল উত্তোলন করেছে। দেশটির সিংহভাগ তেল উত্তোলন হয় টেক্সাস থেকে। এরপর উত্তোলনের তালিকায় দু নম্বরে আছে মেক্সিকো প্রদেশ। তবে টেক্সাসের তুলনায় নিউ মেক্সিকোতে তেল উৎপাদনের পরিমাণ চার গুণ কম।

   

তেল উৎপাদনের দ্বিতীয় দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের ১৭ শতাংশ তেলের সঞ্চয় এই সৌদি আরবে। তেল রপ্তানিতে সৌদি এখনো বিশ্বের এক নম্বর স্থানে রয়েছে। সৌদির জিডিপির মোট পঞ্চাশ শতাংশ জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভর। দেশটির ৮৫ শতাংশ আয় আসে তেল রপ্তানি থেকে।

সৌদির পর বিশ্বের ১০ শতাংশ তেল আসে রাশিয়া থেকে। দেশটি প্রতিবছরে গড়ে দিন প্রতি এক কোটি ৯ লাখ ৩৮ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন করেছে। রাশিয়ার বেশিরভাগ তৈল খনি পশ্চিম সাইবেরিয়ার উড়াল পর্বত অঞ্চলে অবস্থিত। যদিও ধারণা করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞার কারণে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত তেল উত্তোলন হ্রাস করতে হতে পারে। তবে চীন ও ভারতের বাজারে সস্তায় তেল বিক্রি করে জ্বালানি বাণিজ্যে রেকর্ড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

তেল উত্তোলনকারী চতুর্থ শীর্ষ দেশ কানাডা। দেশটির বেশিরভাগ খনি অ্যালবার্টা প্রদেশে অবস্থিত। কানাডার মোট জ্বালানি তেলের ৯৭% উত্তোলন হয় এই অ্যালবার্টা প্রদেশ থেকে। দেশটির জ্বালানির প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তবে সম্প্রতি দেশটি এশিয়া মহাদেশের নিজেদের বাজার প্রসারের কথা চিন্তা ভাবনা করছে।

জ্বালানি উত্তোলনের পঞ্চম দেশ হলো চিন। ২০২২ সালে চিনের দিন প্রতি তেল উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ৫১ লাখ ১৯ হাজার ব্যারেল। তেল উত্তোলন করলেও চাহিদা মেটাতে প্রচুর পরিমাণে তেল আমদানি করতে হয় চিনকে।

ষষ্ঠ স্থানে আছে ইরাক। বিগত কয়েক বছরে ইরাকে তেল উত্তোলনের পরিমাণ কিছুটা কমে এলেও ২০২২ সালে কিছুটা বেড়েছে। সেই বছরে ইরাকে তেল উত্তোলনের পরিমাণ ৪৫ লাখ ৫৩ হাজার ব্যারেল।

সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর অবস্থান সপ্তমে। দেশটি কয়েক দশক ধরে শীর্ষ দশে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী সেই দেশে তেল উত্তোলন হয়েছে ৪৫ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল। বর্তমানে দেশটিতে তেলের সঞ্চয় রয়েছে ৯৮ বিলিয়ন ব্যারেল। যা বিশ্ব জ্বালানি রিজার্ভের প্রায় পাঁচ শতাংশ।

আট নম্বরে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটির বর্তমান অর্থনীতিতে জ্বালানির ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তেল নয় জলবিদ্যুৎ এবং প্রাকৃতিক গ্যাসেও ব্রাজিল সম্ভাবনাময় বলে জানিয়েছে ব্রাজিলের পেট্রোলিয়াম এজেন্সি। তাদের লক্ষ্য ২০২৩ সালের রেকর্ড পরিমাণ তেল উত্তোলন করা।

ব্রাজিলের নবম স্থানে আছে ইরান। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। তেলের পাশাপাশি প্রাকৃতিক গ্যাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রিজার্ভের মালিক মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি।

তেল উত্তোলনের শীর্ষ দেশের শেষে রয়েছে কুয়েত। গতবছর দেশটির উত্তোলন ছিল দিন প্রতি ৩০ লাখ ৫৯ হাজার ব্যারেল। কুয়েতে জিডিপির ৬০% আসে তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। এছাড়া দেশটির রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশ আসে জ্বালানি তেল থেকে।