সোনার দামে বড় ধাক্কা! মার্কিন প্রবণতা বদলে দিচ্ছে পূর্বাভাস

Gold Price Crash Profit Booking Inflation

বিশ্ববাজারে হুড়মুড়িয়ে পড়ল সোনার দাম। সোমবার সর্বকালের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছানোর পর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার সোনার দামে বড় সংশোধন দেখা যায়। ৫ শতাংশ পর্যন্ত পতন হয়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম নেমে আসে ৪,১২০ ডলারে, যেখানে আগের দিনই এটি ৪,৩৮১ ডলার ছুঁয়েছিল। ২০২০ সালের পর এটিই সোনার সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন বলে জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। তবুও চলতি বছরে সোনা এখনও মোট প্রায় ৬০ শতাংশ লাভে রয়েছে।

Advertisements

লাভ বুকিং ও বাজারে অস্থিরতা বাড়ল:

তীব্র র‌্যালির পর বাজারে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে প্রফিট বুকিং। ধাতু ব্যবসায়ী তাই ওয়ং জানান, সাম্প্রতিক তীব্র ওঠানামার কারণে স্বল্প-মেয়াদি বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলেই বাজার ছাড়ছেন, ফলে দামে দ্রুত পতন দেখা যাচ্ছে। শুধু সোনাই নয়, রূপোর দামও ৬ শতাংশের বেশি ভেঙে প্রতি আউন্স ৫০ ডলারের নিচে নেমে গেছে, যা বাজারের অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

দৃষ্টি এখন মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির দিকে: Gold Price Crash Profit Booking Inflation

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি (ইনফ্লেশন) তথ্য এখন বাজারের কেন্দ্রবিন্দু। সরকারি অচলাবস্থার (শাটডাউন) কারণে ওই ডেটা শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এখন অপেক্ষা করছেন এই তথ্য প্রকাশের জন্য, কারণ এর ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ সুদের হার কোন পথে যাবে। সাধারণত সুদের হার কমার সম্ভাবনা তৈরি হলে সোনা-রূপোর মতো নিরাপদ সম্পদে বিনিয়োগের আকর্ষণ বাড়ে।

বিশ্লেষকদের সতর্ক বার্তা:

ট্রেড নেশনের সিনিয়র অ্যানালিস্ট ডেভিড মরিসন বলেছেন, “সোনার দীর্ঘদিনের বুলিশ গতি এখন স্পষ্টভাবে মন্থর হচ্ছে। এটি সাময়িক সংশোধন, নাকি বড় পতনের সূচনা, সেটিই এখন দেখার।”

Advertisements

বিশ্লেষকদের মতে, সোনার বাজার কোন পথে যাবে তা নির্ভর করবে এই সংশোধন কতটা গভীর এবং কতদিন স্থায়ী হয় তার ওপর। অনেকে মনে করছেন, ইনফ্লেশন ও সুদের হারের ইঙ্গিত না পাওয়া পর্যন্ত এই অস্থিরতা বজায় থাকতে পারে।

শেষ কথা:

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বিনিয়োগকারীদের সতর্ক ও ধীরস্থির হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ সামনের তথ্য ও নীতিগত সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে সোনার দাম আবার দ্রুত চাঙা হবে, নাকি আরও চাপের মুখে পড়বে।