ওড়িশা সরকার রাজ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে বড় পদক্ষেপ নিল। নতুন ড্রাফট ইভি পলিসি ২০২৫ অনুযায়ী রাজ্যে বৈদ্যুতিক টু-হুইলার রেজিস্ট্রেশনের জন্য সর্বোচ্চ ভর্তুকির (EV Subsidy) অঙ্ক বাড়িয়ে ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে রাজ্যে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের বা ইভি (EV) চাহিদা বাড়বে বলেই মনে করছেন শিল্প বিশেষজ্ঞরা।
EV Subsidy বাড়ানোর ঘোষণা
ড্রাফট ইভি পলিসি ২০২৫ অনুযায়ী, বৈদ্যুতিক টু-হুইলারের রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রতি কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি ক্যাপাসিটির জন্য ৫,০০০ হারে প্রণোদনা দেওয়া হবে। এই প্রণোদনা সর্বাধিক ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে। আগে এই সীমা ছিল ২০,০০০ টাকা। সরকারের আশা, উচ্চ ব্যাটারি ক্যাপাসিটির স্কুটার ও বাইকের জন্য এই বাড়তি ভর্তুকি (EV Subsidy) ক্রেতাদের উৎসাহ দেবে এবং ইভি বিক্রি আরও বাড়বে।
চার-চাকা ও বাসের ক্ষেত্রেও বাড়তি সুবিধা
শুধু টু-হুইলার নয়, সরকারের এই খসড়া নীতিতে অন্যান্য বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্যও ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। চার-চাকা লাইট মোটর গাড়ি বা ট্যাক্সির জন্য ভর্তুকি বাড়িয়ে ১.৫০ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা করা হবে। এছাড়াও বৈদ্যুতিক বাসের রেজিস্ট্রেশনের জন্য সরকারের তরফে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রণোদনা দেওয়া হবে। ফলে গণপরিবহণ ব্যবস্থায়ও বৈদ্যুতিক যান ব্যবহারের হার বৃদ্ধি পাবে।
পুজোর মরসুমে রাজধানী যাওয়ার প্ল্যান? স্পেশাল ট্রেনের ঘোষণা পূর্ব রেলের
কারা পাবেন এই ভর্তুকি
সরকারি নীতি অনুসারে, এই সুবিধা শুধুমাত্র ওড়িশার স্থায়ী বাসিন্দাদেরই শুধু দেওয়া হবে। প্রত্যেক সুবিধাভোগী প্রতিটি যানবাহন শ্রেণিতে একবার করে ভর্তুকির জন্য দাবি করতে পারবেন। এর পাশাপাশি, রাজ্য সরকার ১৫ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করবে, যা বৈদ্যুতিক যানবাহন খাতে গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D)-এর কাজে ব্যবহার হবে।
উল্লেখ্য, ওড়িশা ইলেকট্রিক পলিসি ২০২১-এ লক্ষ্য ছিল যে ৪ বছরের মধ্যে নতুন রেজিস্ট্রেশনের ২০ শতাংশ হবে ইভি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজ্যে এই হার মাত্র ৯ শতাংশে এসে থেমেছে। তাই সরকার এবার আরও উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। নতুন পলিসি অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে রাজ্যে নতুন রেজিস্ট্রেশনের ৫০ শতাংশই হবে বৈদ্যুতিক যানবাহন।
শিল্প বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বাড়তি ভর্তুকি (EV Subsidy) ইভি বাজারে বড় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সাধারণ মানুষও কম খরচে ইভি কিনতে আগ্রহী হবেন, কারণ চলতি খরচ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ফলে রাজ্যের দূষণ কমবে, জ্বালানি আমদানির উপর নির্ভরতা কমবে এবং পরিবেশবান্ধব যান ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওড়িশা আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।