১ অক্টোবর, কলকাতা: দুর্গাপুজো যে বাংলার প্রাণের উৎসব, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পাঁচদিনের মধ্যে দশমী সবার কাছে সবচেয়ে বড় দিন হিসেবে পরিচিত। সারা বাংলার মানুষ এই দিনটি নানা আয়োজন ও আনন্দে উদযাপন করে থাকে। তবে, এর সঙ্গে একটি অনন্য সম্পর্ক রয়েছে—দশমী, বিশেষ করে দুর্গাপুজোর শেষ দিনে, মদের দোকানগুলোতে বিপুল পরিমাণ বিক্রি হয়। এ বছর সেই চিত্র একেবারে ভিন্ন হতে চলেছে।
সাধারণত, দুর্গাপুজোর পাঁচদিনের মধ্যে দশমীতেই মদের দোকানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। প্যান্ডেল হপিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, সবকিছুতেই থাকে মদ্যপানের অনুপ্রেরণা। বিশেষত, পুরানো রীতি অনুযায়ী, নবমী এবং দশমী দিন তো মদ্যপান ছাড়াই অচল! ফলে মদের দোকানগুলোর ব্যবসা তুঙ্গে পৌঁছায়। তবে, এ বছর সে ছবিটা একেবারে পাল্টে গেছে। কারণ, এ বছর দশমী পড়েছে ২ অক্টোবর, যা গান্ধী জয়ন্তীর দিনও বটে।
Also Read | ইতিহাস তৈরি করল ভারতীয় নৌসেনা, বিশ্বকে দেখাল তাদের সাবমেরিন রেসকিউ-এর দক্ষতা
মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন, ২ অক্টোবর, প্রতি বছর ‘ড্রাই ডে’ হিসেবে পালন করা হয়। অর্থাৎ, এই দিন মদের দোকানগুলো সব জায়গায় বন্ধ থাকে। সরকারিভাবে ২ অক্টোবর মদের দোকান খোলা রাখা নিষিদ্ধ, কারণ এটি জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন। এই নিয়ম প্রথাগতভাবে চালু থাকায়, যদিও দুর্গাপুজোর দশমী সাধারণত মদ বিক্রির পিক সিজন হয়ে থাকে, তবে এবছর সেই নিয়মের সঙ্গে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুজোর দশমীতে মদের দোকান খোলার ট্রেন্ড ছিল। স্থানীয় প্রশাসন প্রায়ই সেই দিন মদের দোকানগুলোকে ব্যবসার সুযোগ দিত। তবে এই বছর সারা দেশে গান্ধী জয়ন্তীর গুরুত্বের কারণেই তারিখের সংঘর্ষে, মদের দোকান খোলার অনুমতি মেলেনি।
Also Read | নবমীর ভিড়ে কন্যাসঙ্গী হয়ে ঠাকুর দর্শনে অভিষেক
এ বছর ২ অক্টোবর, অর্থাৎ দুর্গাপুজোর দশমী এবং গান্ধী জয়ন্তী একই দিনে পড়েছে। ক্যালেন্ডারের এই সংযোগ আর সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে মদের দোকানগুলোর জন্য একটি বড় আঘাত এসেছে। এমনিতে, দুর্গাপুজোর সময় মদের দোকান খোলার অনুমতি সব সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এবারের ব্যতিক্রমটা সারা রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, তারা জানেন যে, দশমী দিন মদের দোকানে চাহিদা থাকলেও, সেই চাহিদা পূর্ণ করা সম্ভব হবে না।