ফ্লাইট টিকিট বাতিলের জন্য কোনও চার্জ লাগবে না! নতুন নিয়মগুলি জেনে নিন

Air Ticket

নয়াদিল্লি, ৪ নভেম্বর: বিমান ভ্রমণকারীদের জন্য কিছুটা স্বস্তি এসেছে। বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদফতর (DGCA) বিমান টিকিট ফেরত এবং বাতিলকরণ নিয়ন্ত্রণকারী নিয়মে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করেছে। লক্ষ্য হল ভ্রমণকারীদের আরও সুবিধা, স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা প্রদান করা। ফ্লাইট বাতিল বা টিকিট পরিবর্তন করার সময় যাত্রীরা প্রায়শই যে সমস্যার সম্মুখীন হন তা এখন ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। Air Ticket Refunds

Advertisements

৪৮ ঘন্টা বিনামূল্যে বাতিলকরণ এবং পরিবর্তনের সুবিধা
ডিজিসিএ-র নতুন প্রস্তাবের অধীনে, যাত্রীরা এখন ফ্লাইট বুকিংয়ের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিনামূল্যে তাদের টিকিট বাতিল বা পরিবর্তন করতে পারবেন। একে “লুক-ইন পিরিয়ড” বলা হয়। যদি আপনি টিকিট বুক করেন এবং হঠাৎ আপনার পরিকল্পনা পরিবর্তন করেন, তাহলে আপনি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কোনও জরিমানা ছাড়াই পরিবর্তন করতে পারবেন।

   

তবে, এই বৈশিষ্ট্যটি নির্দিষ্ট কিছু বুকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, যেমন যদি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য টিকিট ছাড়ার পাঁচ দিনের কম আগে বা আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য টিকিট ছাড়ার ১৫ দিনের কম আগে বুক করা হয়। এই ক্ষেত্রে, বিমান সংস্থার স্বাভাবিক বাতিলকরণ চার্জ প্রযোজ্য হবে।

রিফান্ড আর আটকে থাকবে না; ২১ দিনের মধ্যে তা পেয়ে যাবে
যাত্রীদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল রিফান্ডে বিলম্ব। ডিজিসিএ এটিও উন্নত করার প্রস্তাব করেছে। এখন থেকে বিমান সংস্থাগুলিকে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে। তাছাড়া, যদি কোনও যাত্রী শেষ মুহূর্তে তাদের টিকিট বাতিল করেন বা ফ্লাইটে উঠতে ব্যর্থ হন (অনুপস্থিতি) তবুও বিমান সংস্থাকে বিমানবন্দর ফি এবং কর ফেরত দিতে হবে।

এর সাথে, ডিজিসিএ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, যদি যাত্রী বুকিংয়ের 24 ঘন্টার মধ্যে তার নামের কোনও ছোটখাটো ভুল (যেমন বানান ভুল) সংশোধন করতে বলেন, তাহলে বিমান সংস্থাগুলি এর জন্য কোনও অতিরিক্ত ফি নিতে পারবে না।

ট্রাভেল এজেন্ট এবং চিকিৎসাগত জরুরি অবস্থার জন্য ত্রাণ
অনেক সময়, ভ্রমণকারীরা ট্রাভেল এজেন্টদের মাধ্যমে তাদের টিকিট বুক করেন এবং পরে টাকা ফেরত নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হন। এখন, ডিজিসিএ-র প্রস্তাব অনুসারে, এই ধরনের টিকিটের ফেরতের দায়িত্ব সরাসরি বিমান সংস্থার, এজেন্টের নয়। এর ফলে যাত্রীরা সরাসরি এবং দ্রুত সমাধান পাবেন।

Advertisements

চিকিৎসা জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতিতে যাত্রীদেরও স্বস্তি দেওয়া হয়েছে

যদি কোনও যাত্রীকে অসুস্থতা বা জরুরি অবস্থার কারণে ফ্লাইট বাতিল করতে হয়, তবে বিমান সংস্থা কেবল সেই পরিস্থিতিতেই ক্রেডিট শেল (ভ্রমণ ভাউচার) জারি করতে পারে, তবে যাত্রীর সম্মতি ছাড়া এটি বাস্তবায়ন করা যাবে না।

যাত্রীদের অধিকার জোরদার করা হবে

ডিজিসিএ-র এই প্রস্তাব বিমান যাত্রীদের অধিকার জোরদার করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি কেবল বিমান সংস্থাগুলির জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করবে না, বরং টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে ফেরত পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটিকে আরও স্বচ্ছ এবং নির্ভরযোগ্য করে তুলবে। যাত্রীরা এখন নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন যে তাদের ফ্লাইট বাতিল হলে বা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে, তাদের অর্থ এবং সময় উভয়ই নিরাপদ।