ভারত সহ সারা বিশ্বে ভদকা, হুইস্কি এবং জিনের প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। কিন্তু ওয়াইনের (Wine) প্রতিযোগিতা নেই। সম্প্রতি ভারতের অনেক বড় শহরেও মদের ব্যবহার দ্রুত বেড়েছে। যাইহোক, ভারতের অনেক জায়গায় ওয়াইন তৈরি হয়। ভারতের সুলা এবং নাসিক ওয়াইন উৎপাদনের জন্য বেশ বিখ্যাত। জানলে অবাক হবেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশ্বের এক শতাংশ মদও ভারতে হয় না। মদ তৈরিতে ইউরোপের দেশগুলোর আধিপত্য। অন্যদিকে, আমরা যদি এশিয়ার কথা বলি, তবে বেশিরভাগ ওয়াইন চিনে তৈরি হয়। হ্যাঁ, চীন শুধু প্রযুক্তিতেই নয়, এশিয়ার অনেক দেশের মধ্যে ওয়াইন তৈরিতে এগিয়ে রয়েছে।
বা সহজভাবে বলা যেতে পারে, চীন মদ তৈরিতে এশিয়ার সব দেশকে হারিয়ে দিয়েছে। চিন ছাড়াও ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনেও মদ তৈরি হয়। কিন্তু এখানেও তাদের ভাগ অর্ধেক। আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়াও শীর্ষ পাঁচটি ওয়াইন উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় রয়েছে, তবে ভারত এই ক্ষেত্রে খুব কম, অন্যদিকে চীন এশিয়ায় এক নম্বরে রয়েছে। বিশ্বের মোট ওয়াইন উৎপাদনের ১.৬২ শতাংশ একাই চিনের।
এখানে বেশিরভাগ উৎপাদন হয়
ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিস্টিক্সের তথ্য অনুসারে, ইতালিতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ওয়াইন উৎপাদন হয়। বিশ্বের মোট ওয়াইন উৎপাদনে এর অংশ ১৯.৩০ শতাংশ। অন্যদিকে ফ্রান্সের শেয়ারের কথা বললে ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং স্পেনের ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ মদ উৎপাদন হয়। বিশ্বব্যাপী ওয়াইন উৎপাদনে এই তিনটি দেশের অংশ ৫০%। এই তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে আমেরিকা, যার বৈশ্বিক উৎপাদন ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ার শেয়ার ৪.৯৩ শতাংশ। এই তালিকায় পরবর্তী দুটি নাম রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ চিলি ও আর্জেন্টিনার। একই সময়ে, এশিয়ার বেশিরভাগ ওয়াইন চিনে তৈরি হয়। এখানকার মদও অনেক জায়গায় রপ্তানি হয়।
ভারতে মদের বাজার
ভারতের ওয়াইন শিল্প হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর প্রবণতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে বিশেষ করে বড় মেট্রো শহরগুলিতে। অভিজাত শ্রেণী এবং তরুণ প্রজন্ম মদের ভাইব একটু বেশিই পছন্দ করছে। কখনও তিনি হিমাচলের ওয়াইন পান করতে পছন্দ করেন এবং কখনও কখনও তিনি সুলার ওয়াইন সেরা হতে পছন্দ করেন। ভারতে সবচেয়ে বেশি ওয়াইন উৎপাদন হয় মহারাষ্ট্রের নাসিকে।
নাসিকে আঙ্গুরের বাগানও আছে। সুলা এসবের উপরে। নাসিক ভারতের ওয়াইন ক্যাপিটাল নামেও পরিচিত। এছাড়াও কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরের আশেপাশে অনেক আঙ্গুর বাগান রয়েছে। পুনেতেও চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে মদ শিল্প দ্রুত বাড়ছে। হিমাচল প্রদেশের কাংড়া এবং কুল্লু উপত্যকায়ও ওয়াইন শিল্প স্থাপন করা হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের ওয়াইন বাজার ২০২৭ সালের মধ্যে ৩০.৯২ শতাংশের CGR সহ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।