আসন্ন অন্তর্বর্তী বাজেটে (Budget 2024 ) সোনা, কাটা ও পালিশ করার হিরের উপরে আমদানি শুল্ক কমানো সহ একাধিক সুবিধা দাবি করেছে জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল (জিজেইপিসি)। বিশ্ববাজারে ভারতের স্বর্ণ শিল্পকে প্রতিযোগিতায় এগোতে সাহায্য করতে এই পদক্ষেপ জরুরি বলে জানিয়েছে এই শিল্পের রফতানিকারীদের সংগঠন ৷
এই শিল্প কাঁচামালের জন্য আমদানির উপরে নির্ভরশীল। বিদেশ থেকে ওই সব পণ্য আসে তারপর এখানে তা কাটা ও পালিশ করা হয় এবং গয়না তৈরির পরে ফের রফতানি করা হয়। জিজেইপিসি-র বক্তব্য, দামি ধাতুর ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশের বদলে ৪% আমদানি শুল্ক চাপুক। কাটা ও পালিশ করা হিরের ক্ষেত্রে তা ৫% থেকে কমিয়ে হোক ২.৫%। শুল্ক না কমলে রফতানি ধাক্কা খাবে বলে অভিমত সংগঠনের। আর তাহলে ধাক্কা খাবে কাজের বাজার ৷
সেই সঙ্গে মূলত হিরে শিল্পের কথা ভেবে বেশ কিছু সুবিধাও দাবি করেছে তারা, যেমন রয়েছে ইম্পরেস্ট লাইসেন্স ফের চালু করা। এরফলে ছোট সংস্থাগুলির সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর হাত ধরে হিরে শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ তৈরির আশাও করছে সংগঠনটি ৷ এছাড়া স্পেশাল নোটিফায়েড জোন মারফত না কাটা হিরে বিক্রির সুবিধা দেওয়া- সহ একগুচ্ছ দাবিও জানানো হয়েছে।
এই সংগঠনের চেয়ারম্যান বিপুল শাহের মতে, এই সব সুবিধা পেলে ছোট শিল্পের কাছে কাঁচামাল পৌঁছবে এবং বর্তমান চড়া দামের কারণে শিল্প যে ভাবে ধাক্কা খাচ্ছে, তা-ও কিছুটা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে তারা।