নয়াদিল্লি: কয়ের মাসের মধ্যেই লোকসভা ভোট৷ ফলে এবারে ১ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ বাজেট হবে না৷ কিন্তু ওইদিন সংসদে অন্তর্বর্তী বাজেট (Budget 2024) পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে এই বাজেটেই আবাসন শিল্পের সংগঠন ক্রেডাই চাহিদা বৃদ্ধির জন্য গৃহঋণের সুদ এবং আসলে করছাড়ের সীমা আরও বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছে। পাশাপাশি কম দামি আবাসনের সংজ্ঞাতেও বদল আনার আবেদন করেছে তারা।
ক্রেডাইয়ের সভাপতি বোমান ইরানি বলেছেন, ‘‘আমাদের সুপারিশগুলির মাধ্যমে, আমরা কিছু মৌলিক বিষয়ের সমাধানের কথা বলেছি ৷ আমরা বিশ্বাস করি যে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের সংজ্ঞায় পরিবর্তন এবং বর্ধিত কর ছাড়ের মিশ্রণের মাধ্যমে চাহিদা এবং সরবরাহ উভয় ক্ষেত্রকেই বিশাল উত্সাহ দেবে, যা এগিয়ে যাওয়ার একটি নির্দিষ্ট উপায় প্রদান করতে বাধ্য। যেহেতু ভারতীয় রিয়েল এস্টেট ১০ ট্রিলিয়ন ডলার মাইলফলকে পৌঁছলে ভারতের অর্থনীতিতে প্রায় ২০ শতাংশ অবদান রাখবে বলে অনুমান করা হচ্ছে ৷”
ক্রেডাই জানাচ্ছে ,দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী লাভের উপর উপর ১০ শতাংশ কর এবং তারজন্য হোল্ডিং পিরিয়ড ১২ মাসে কমিয়ে আনা উচিত। আবাসিক সম্পত্তি বিক্রয়ের মূলধনী লাভ ছাড় দেওয়া উচিত যদি বিক্রয় আদায়ের ৫০ শতাংশ একাধিক আবাসিক সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করা হয়। বর্তমানে, দীর্ঘমেয়াদী মূলধনী লাভের উপর ২০ শতাংশ হারে কর দেওয়া হয় এবং সেক্ষেত্রে হোল্ডিং সময়কাল ২৪ মাস ধরা হয়।
বর্তমানে, একটি আবাসন ঋণের আসল পরিশোধের জন্য ছাড়ের সর্বোচ্চ সীমা হল ১.৫ লক্ষ টাকা৷ ক্রেডাই আরও জানিয়েছে “অনেকে ধারা ৮০C এর অধীনে উপরের সীমা এবং অন্যান্য উপলব্ধ ডিডাকশনগুলি বিবেচনা করে এই ডিডাকশনের সুবিধাটি সম্পূর্ণরূপে দাবি করতে সক্ষম হয় না। হাউজিং লোনের মূল পরিশোধের জন্য ধারা ৮০C এর অধীনে ছাড় বর্তমান সীমা ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে বৃদ্ধি করা উচিত।”
ক্রেডাই সুপারিশ করেছে, সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের সংজ্ঞাটি সংশোধন করে মেট্রোগুলিতে ৯০- বর্গ-মিটার (বর্গমিটার) কার্পেট এরিয়া এবং নন-মেট্রোগুলিতে ১২০-বর্গমিটার কার্পেট এরিয়া করা এবং ওই ইউনিটের খরচের কোনও সীমা না রাখা৷
আয়কর আইনের ধারা ২৪(b) এর অধীনে ভাড়া থেকে হওয়া আয়ের বিপরীতে সুদ কাটার বর্তমান সীমা হল স্ব-অধিকৃত সম্পত্তির জন্য ২ লক্ষ টাকা। সেই প্রসঙ্গে ক্রেড়াই বলেছে,”গৃহক্রেতারা সুদের প্রকৃত অর্থ প্রদান সত্ত্বেও ২ লাখ টাকার বেশি সুদের দাবির সুবিধা পান না। স্ব-অধিকৃত সম্পত্তির ক্ষেত্রে এই সুদ ছাড়ের সীমা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা উচিত৷” এর পাশাপাশি ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণে এবং ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহ উন্নয়ন ঋণের জন্য একটি ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের ব্যবস্থা থাকা উচিত বলে জানিয়েছে।