Yamaha Aerox ইলেকট্রিক অবতারে এল, এক চার্জে চলবে ১০৬ কিমি

Yamaha Aerox Electric revealed

ইয়ামাহা ভারতে একের পর এক নতুন মডেল উন্মোচন করছে, আর তারই অংশ হিসেবে সম্প্রতি সামনে এসেছে Yamaha Aerox Electric বা Aerox-E। জানিয়ে রাখি, এটি জনপ্রিয় পেট্রলচালিত Aerox 155-এর ইলেকট্রিক সংস্করণ। XSR155-এর সঙ্গে একসঙ্গে প্রদর্শিত এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি ইয়ামাহার বৈদ্যুতিক দুই-চাকার সেগমেন্টে বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisements

Yamaha Aerox Electric: শক্তিশালী মোটর ও ব্যাটারি সেটআপ

Yamaha Aerox-E-তে রয়েছে ডুয়েল ১.৫ কিলোওয়াট-ঘণ্টার রিমুভেবল ব্যাটারি প্যাক, যা একটি ৯.৫ কিলোওয়াট মোটর চালায়। এই মোটরটি সর্বোচ্চ ৪৮ নিউটন মিটার টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম, যা স্কুটারটিকে দ্রুত এক্সিলারেশন দিতে সাহায্য করে। ইয়ামাহার দাবি, এই ব্যাটারিগুলিতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘হাই-এনার্জি টাইপ সেল’, যা দীর্ঘস্থায়িত্ব ও পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা। স্কুটারটির সার্টিফায়েড রেঞ্জ ১০৬ কিলোমিটার, অর্থাৎ একবার চার্জে শহুরে চলাচলের জন্য যথেষ্ট।

   

Aerox-E-এর কার্ব ওজন ১৩৯ কেজি, যা পেট্রলচালিত Aerox 155-এর তুলনায় প্রায় ১৩ কেজি বেশি। অতিরিক্ত ওজন সত্ত্বেও স্কুটারটির পারফরম্যান্স প্রভাবিত হয় না, কারণ এর পাওয়ার ডেলিভারি তাৎক্ষণিক এবং মসৃণ। এই ইলেকট্রিক স্কুটারটিতে রয়েছে তিনটি রাইডিং মোড — ইকো, স্ট্যান্ডার্ড এবং পাওয়ার, সঙ্গে রয়েছে একটি বুস্ট মোড, যা অল্প সময়ের জন্য অতিরিক্ত শক্তি দেয় দ্রুত ওভারটেকিং বা হাইওয়ে অ্যাকসিলারেশনের সময়।

ব্রেকিং ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা

Yamaha Aerox-E-তে দেওয়া হয়েছে সামনের ডিস্ক ব্রেকে ABS এবং পিছনের ডিস্ক ব্রেক, যা শক্তিশালী ব্রেকিং কনফিডেন্স প্রদান করে। এটি স্কুটারটিকে নিরাপদ এবং নিয়ন্ত্রিত করে তোলে, বিশেষ করে ভেজা বা পিচ্ছিল রাস্তায়।

ডিজাইনের দিক থেকে Aerox-E তার পেট্রল সংস্করণের মতোই দেখতে। এতে রয়েছে টুইন-এলইডি হেডলাইট ও এলইডি টেললাইট, যা Aerox 155-এর স্টাইল বজায় রেখেছে। তবে ইলেকট্রিক সংস্করণে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে — যেমন নতুন TFT ডিজিটাল ড্যাশ, যা স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি সমর্থন করে। এর মাধ্যমে রাইডার বিভিন্ন তথ্য যেমন ব্যাটারির চার্জ, রেঞ্জ, স্পিড এবং নেভিগেশন অ্যাক্সেস করতে পারেন।

Advertisements

ইয়ামাহা জানিয়েছে, Aerox-E-এর এরগোনমিক্সে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে যাতে রাইডিং আরও আরামদায়ক হয়। তবে, বুট স্পেস কিছুটা কমানো হয়েছে, কারণ ব্যাটারি ও ইলেকট্রিক কম্পোনেন্টগুলির অবস্থানের জন্য জায়গা পুনর্বিন্যাস করতে হয়েছে।

ভারতে লঞ্চের সম্ভাবনা

বর্তমানে Yamaha কেবল Aerox-E-কে প্রদর্শন করেছে, কিন্তু এর দাম ও লঞ্চের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। অনুমান করা হচ্ছে, স্কুটারটি ভারতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আত্মপ্রকাশ করতে পারে, এবং এর দাম প্রায় ১.৫০ লক্ষ টাকার আশেপাশে হতে পারে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, Yamaha Aerox Electric ইলেকট্রিক স্কুটার মার্কেটে ইয়ামাহার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। শক্তিশালী মোটর, উন্নত ব্যাটারি টেকনোলজি, স্মার্ট ফিচার এবং আধুনিক ডিজাইনের কারণে এটি ভারতের প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক স্কুটার সেগমেন্টে এক বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে চলেছে।