২০২৬-এর শুরুতেই বাজারে আসছে রয়্যাল এনফিল্ডের প্রথম ই-বাইক!

ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল-প্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। নতুন বছরের শুরুতেই ভারতের বাজারে পা রাখতে চলেছে রয়্যাল এনফিল্ডের প্রথম ইলেকট্রিক বাইক (Royal Enfield Flying Flea C6)।…

Royal Enfield Flying Flea C6 Electric Motorcycle

ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল-প্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। নতুন বছরের শুরুতেই ভারতের বাজারে পা রাখতে চলেছে রয়্যাল এনফিল্ডের প্রথম ইলেকট্রিক বাইক (Royal Enfield Flying Flea C6)। বলা বাহুল্য ইভি (ইলেকট্রিক ভেহিকেল) যুগের নবজাগরণে সংস্থার এই পদক্ষেপ অন্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে। জানা গিয়েছে, ২০২৬-এর প্রথম দিকেই ই-বাইকটি লঞ্চের পরিকল্পনা করছে রয়্যাল এনফিল্ড। সম্প্রতি আয়োজিত এক বৈঠকে সংস্থার সিইও এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, এই বাইকটি কোম্পানির নতুন ইভি সাব-ব্র্যান্ডের অধীনে সম্পূর্ণ ঘরোয়া প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে।

EICMA 2024-এ প্রথম আত্মপ্রকাশ করে Royal Enfield Flying Flea C6

Royal Enfield Flying Flea C6 ২০২৪ সালের EICMA মোটর শো-তে বিশ্ববাজারে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর ভারতের বিভিন্ন শহরে একাধিক পাবলিক ডিসপ্লের মাধ্যমে বাইকটি সাধারণ মানুষের সামনে আনা হয়। এই প্রদর্শনী ছিল কোম্পানির মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির একটি অংশ, যাতে ভবিষ্যতের ইভি প্রযুক্তি সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতন করা এবং ব্র্যান্ডের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলা যায়।

   

ডিজাইন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

বাইকটির ডিজাইন নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা সমালোচনা দেখা যায়। অনেকেই এর অপ্রচলিত স্টাইলিং, এক্সহস্ট নোটের অনুপস্থিতি এবং বর্তমান রয়্যাল এনফিল্ড লাইনআপের সঙ্গে সাযুজ্যহীন বডি প্রোপোরশনের কারণে হতাশ হয়েছেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি শহুরে রাইডারদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

জুলাইয়ে আসছে আরও সস্তার Hero Vida, ইলেকট্রিক স্কুটার দিয়েই মাত দেবে হিরো

Advertisements

ফ্লাইং ফ্লি C6 শুধুমাত্র শহরের ভিতরে নয়, শহরতলি পর্যন্ত ছোট রাইডের জন্যও উপযোগী। তবে এটি লং-ডিস্ট্যান্স ট্যুরিংয়ের জন্য উপযুক্ত নয়। বাইকটিতে থাকবে একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল সার্কুলার TFT ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, যা ব্লুটুথ কানেক্টিভিটির সুবিধা দেবে। পাশাপাশি, রয়েছে ট্র্যাকশন কন্ট্রোল ও কর্নারিং এবিএস – যা রয়্যাল এনফিল্ডের ইতিহাসে এই প্রথমবার দেখা যাবে।

মূল্য এবং সম্ভাব্য স্ক্র্যাম্বলার ভ্যারিয়েন্ট

ফ্লাইং ফ্লি C6-এর সম্ভাব্য এক্স-শোরুম মূল্য ধরা হচ্ছে ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে। রয়্যাল এনফিল্ডের তরফে আরও একটি স্ক্র্যাম্বলার স্টাইলের ভ্যারিয়েন্ট আনার পরিকল্পনা রয়েছে, যেটির নাম হতে পারে ফ্লাইং ফ্লি S। এটি ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে বাজারে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, Royal Enfield Flying Flea C6 বাইকটির হাত ধরে রয়্যাল এনফিল্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শ করতে চলেছে। একদিকে ঐতিহ্যবাহী পরিচিতি বজায় রাখা, অন্যদিকে আধুনিক প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি – এই দুইয়ের সমন্বয়ে ফ্লাইং ফ্লি C6 ভারতের ইভি বাইক বাজারে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হয়ে উঠতে পারে।