জানেন কী, সন্ত্রাস, যুদ্ধ ও নকশালবাদের কারণে ভারতে যত না মানুষ মারা যান, তার চেয়েও বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। সম্প্রতি এফআইসিসিআই (FICCI) রোড সেফটি অ্যাওয়ার্ডস এবং কনক্লেভ ২০২৪-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকরি (Nitin Gadkari) সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, অপর্যাপ্ত ও বিস্তারিত প্রজেক্ট রিপোর্টের কারণে সড়ক প্রকল্পগুলি অন্ধকারে চলে যাচ্ছে। তিনি যোগ করেন, প্রতি বছর দেশে ৫ লক্ষ পথ দুর্ঘটনা ঘটে, এতে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ মারা যান এবং তিন লক্ষ মানুষ আহত হন। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি-র ৩ শতাংশ বলেও জানান তিনি।
গড়করি আরও বলেন, “যাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের জীবন বাঁচানো যায়, সেজন্য় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রক বর্তমানে অ্যাম্বুলেন্সের চালকদের জন্য নতুন কোড প্রস্তুত করছে। বর্তমানে, অনেক অ্যাম্বুলেন্সে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলির অভাব রয়েছে। যার ফলে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের উদ্ধার করতে তিন ঘন্টা পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে।”
রাস্তা খারাপের জন্য বাড়ছে দুর্ঘটনা
গডকরি (Nitin Gadkari) বলেন, “চালককে দোষারোপ করা খুব সাধারণ বিষয়। তবে আমি আপনাকে বলতে চাই যে, আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি – প্রায়শই রাস্তা মেরামতিতে গোলতি থেকে যায়। যে কারণে বিপত্তিতে পড়তে হয় গাড়ির চালকদের।” তাঁর মতে এই দুর্ঘটনা বাড়ার অপর কারণ হচ্ছে নিম্নমানের সুরক্ষার বাস। তাই আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ থেকে কেবলমাত্র আন্তর্জাতিক সুরক্ষা মান পূরণ করা বাসগুলিই রাস্তায় চলাচলের অনুমতি পাবে বলে তিনি জানান।
গডকরি বলেন, বাস তৈরিতে ব্যবহৃত পুরনো পদ্ধতি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাঠের ফ্রেম এবং অ্যালুমিনিয়াম শীট আর ব্যবহার করা হবে না। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিবর্তনটি গণপরিবহণের সুরক্ষার মানকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করবে। প্রসঙ্গত, পথে সুরক্ষা বাড়াতে তিনি দেশের আইআইটি-গুলির সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছেন। তাদের সাহায্য নিয়ে যাতে আগামীতে অগ্রসর হয় যায় সে দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান গডকরি (Nitin Gadkari)।