ইতালির মিলানে আয়োজিত EICMA 2024-এর মঞ্চে উন্মোচিত হল 2025 KTM 390 Adventure। এবারে আরও বড় ইঞ্জিন সহ এসেছে এই বাইক। আবার রয়েছে নতুন ডিজাইন এবং অধিক শক্তপোক্ত চ্যাসিস। অ্যাডভেঞ্চার বাইকটির সম্মুখে দেওয়া হয়েছে ব়্যালি স্টাইল ফ্রন্ট ফেয়ারিং, প্রোজেক্টর ল্যাম্প সহ হর্সসু এলইডি ডিআরএল এবং ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি যুক্ত একটি নতুন কালার টিএফটি ড্যাশ। এটি বিশ্ববাজারে উন্মোচিত হলেও পরবর্তীতে ভারতেও পা রাখবে।
390 ADV পরিবারে একটি অফ-রোড, একটি টুরার, একটি এনডুরো এবং একটি সুপারমোটো মডেল আত্মপ্রকাশ করেছে। এগুলি প্রতিটি একই প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে এসেছে। যার মধ্যে 390 Adventure R সর্বাধিক ফিচার সমৃদ্ধ ভ্যারিয়েন্ট। এতে রয়েছে নতুন H50 টিএফটি ড্যাশবোর্ড, কর্নারিং এবিএস এবং মোটরসাইকেল ট্র্যাকশন কন্ট্রোল। সামনের ২১ ইঞ্চি এবং পিছনে 18 ইঞ্চি স্পোকযুক্ত চাকা, আর উভয় প্রান্তে ডিস্ক ব্রেক সহ টিউব-টাইপ টায়ারে ছুটবে এই বাইক।
KTM 390 Adventure সিরিজের 390 Adventure R একটি স্টিলের ট্রেলিস ফ্রেমের উপর ভিত্তি করে এসেছে। এর সঙ্গে রয়েছে টেলিস্কোপিক WP ফ্রন্ট ফর্ক এবং রিয়ার মোনোশক, উভয়ই ফুল অ্যাডজাস্টেবল এবং ২৩০ ট্রাভেল যুক্ত। শক্তি প্রদান করতে রয়েছে একটি ৩৯৯ সিসি, লিকুইড কুল্ড LC4c ইঞ্জিন। যা নতুন প্রজন্মের 390 Duke-এও বর্তমান। এটি থেকে ৮,৫০০ আরপিএম গতিতে ৪৫.৩ বিএইচপি পাওয়ার এবং ৬,৫০০ আরপিএম গতিতে ৩৯.৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। বাইকে রয়েছে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স এবং বাই-ডিরেকশনাল কুইক শিফ্টার।
রঙের বাহার দেখবে লোকে! লঞ্চ হল রয়্যাল এনফিল্ডের দুর্ধর্ষ 650cc বাইক
কেটিএম আরও একটি বাইকের উপর থেকে পর্দা সরিয়েছে। এটি হচ্ছে 390 Adventure X, যা তুলনামূলক সস্তার। এটি একটি টুরার ভ্যারিয়েন্ট। অর্থাৎ শহরের রাস্তায় চলাচলের উপযোগী। এতে দেওয়া হয়েছে নন-অ্যাডজাস্টেবল সাসপেনশন কম্পোনেন্ট এবং কালার টিএফটি ড্যাশ। এছাড়া উপস্থিত ডুয়েস চ্যানেল এবিএস। সামনে ও পেছনে যথাক্রমে ১৯ ও ১৭ ইঞ্চি কাস্ট-অ্যালয় হুইল বর্তমান।
রয়েছে বিশাল ফুয়েল ট্যাঙ্ক ও শক্তিশালী ইঞ্জিন, আত্মপ্রকাশ করল Royal Enfield Classic 650
ভারতে এই মডেলগুলি লঞ্চ হবে
KTM 390 Adventure পরিবারের 2025 390 Adventure R ও X মডেলটি শীঘ্রই ভারতের বাজারে পা রাখবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে কেটিএম আরও দুটি বাইকের উপর থেকে পর্দা সরিয়েছে, যেগুলি এদেশের বাজারে লঞ্চের সম্ভামনা কম। এগুলি হল – 390 Enduro R এবং 390 SMC R। যা 390 Adventure-এর প্ল্যাটফর্ম ও ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে।
C6-এর পর আরও এক ই-বাইক, রয়্যাল এনফিল্ডের নতুন অধ্যায়ের সূচনা
প্রসঙ্গত, KTM তাদের নতুন মডেল Enduro R এবং SMC R বাইকগুলিতে আধুনিক ও উন্নত বৈশিষ্ট্য দিয়েছে, যা অফ-রোড এবং সুপারমোটো বাইকিংয়ে বিশেষ সুবিধা দেবে। নতুন Enduro R মডেলে রয়েছে একটি ষড়ভুজ আকৃতির হেডল্যাম্প এবং সমতল কাউল। যা LED টার্ন ইন্ডিকেটরের সঙ্গে সজ্জিত। এই বাইকটিতে রয়েছে দীর্ঘ-যাত্রার সাসপেনশন ব্যবস্থা, যার মধ্যে WP USD সামনের ফর্ক এবং পিছনে একটি মনোশক রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য সামনে ও পেছনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক সহ ডুয়েল-চ্যানেল ABS যুক্ত করা হয়েছে। এতে ২১ ইঞ্চি ফ্রন্ট এবং ১৮ ইঞ্চি রিয়ার স্পোকড চাকায় টিউব-টাইপ টায়ার লাগানো রয়েছে। এটি খারাপ রাস্তাতেও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করবে।
অন্যদিকে, KTM 390 SMC R মডেলটি সুপারমোটো ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে বাজারে এসেছে, যা Enduro R এর মতো কাওলড হেডল্যাম্প এবং উঁচু সামনের ফেন্ডার ব্যবহার করেছে। এর আক্রমণাত্মক বডি ওয়ার্ক, ট্যাঙ্ক এক্সটেনশন, টিউবুলার হ্যান্ডেলবার এবং সাইড প্যানেল দুটি মডেলেই একই রকম। যদিও হার্ডওয়্যার একই রয়েছে, SMC R মডেলটি বিশেষভাবে রোড-বায়াসড টায়ার এবং চাকায় আলাদা। এই বাইকটিতে ১৭ ইঞ্চি চাকা সামনে ও পিছনে ব্যবহার করা হয়েছে, যা রাস্তায় আরও ভালো পারফরম্যান্স দেবে। এটি সামনের ও পেছনের ডিস্ক ব্রেক এবং ডুয়াল-চ্যানেল ABS সহ নিরাপত্তা প্রদান করে। KTM-এর এই দুই মডেল বাইকারদের জন্য আলাদা রাইডিং অভিজ্ঞতা দেবে, যেখানে Enduro R অফ-রোড রাইডিংয়ের জন্য উপযুক্ত এবং SMC R মূলত সুপারমোটো রাইডারদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।