HomeBusiness২০২৬-এ নতুন পে কমিশন এলে ডিএ শূন্য হবে! বিস্তারিত জানুন

২০২৬-এ নতুন পে কমিশন এলে ডিএ শূন্য হবে! বিস্তারিত জানুন

- Advertisement -

কর্মচারীদের মধ্যে ৮ম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন (৮ম পিসি) নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এখনও পর্যন্ত সরকার সময়সীমা ঘোষণা করেনি, তবে আলোচনা চলছে যে ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকেই নতুন বেতন স্কেল কার্যকর হতে পারে। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে ২০২৮ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে বড় প্রশ্ন—নতুন পে কমিশন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত কি ডিএ (মহঙ্গভাতা) বাড়তে থাকবে?

ডিএ কি বাড়তেই থাকবে?

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, নতুন পে কমিশন কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত ডিএ হিসাব করা হবে বর্তমান বেসিকের শতাংশ হিসেবে। জানুয়ারি ও জুলাই—এই দুই মাসে প্রতি বছর ডিএ সংশোধন হয়। তাই ৮ম পে কমিশন চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত কর্মচারীরা আগের মতোই ডিএ পেতে থাকবেন।

   

নতুন পে কমিশন চালু হলে ডিএ ‘জিরো’ হয়ে যাবে, কারণ তখনকার নতুন বেসিক বেতনের মধ্যেই আগের সব ডিএ যুক্ত হয়ে যায়। বর্তমানে ডিএ ৫৮%, যা নতুন বেসিকে মিশে গিয়ে শূন্যে নেমে আসবে।

বেতন–ভাতা ও পেনশনে বড় পরিবর্তন:

৮ম পে কমিশন সরকারি কর্মচারীদের বেতন, পেনশন ও বিভিন্ন ভাতা পুনর্গঠন করবে। মূল্যবৃদ্ধি, জীবনযাত্রার খরচ এবং সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনা করেই নতুন বেতন কাঠামো তৈরি হবে।
গত ২৮ অক্টোবর, কেন্দ্র সরকার কমিশনের Terms of Reference (ToR) অনুমোদন করেছে। কমিশন গঠনের পরে ১৮ মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেবে।

ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর—বেতন বৃদ্ধির মূল নির্ধারক:

নতুন বেসিক বেতন নির্ধারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের। ৭ম পে কমিশনে এই ফ্যাক্টর ছিল ২.৫৭। ৮ম পে কমিশনে এটি ২.৪৬ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে—যদিও সরকার এখনও তা চূড়ান্ত করেনি।
প্রতি পে কমিশনে ডিএ আবার শূন্য থেকে শুরু হয় কারণ নতুন বেসিক বেতন আগের সমস্ত মুদ্রাস্ফীতি-সংক্রান্ত সমন্বয়কে অন্তর্ভুক্ত করে।

উদাহরণ: লেভেল ৬ কর্মচারীর সম্ভাব্য বেতন-

বর্তমান ৭ম পে কমিশন অনুযায়ী—
বেসিক বেতন: ৩৫৪০০ টাকা
ডিএ (৫৮%): ২০৫৩২ টাকা
এইচআরএ (মেট্রো – ২৭%): ৯৫৫৮ টাকা
মোট বেতন: ৬৫৪৯০ টাকা

যদি ৮ম পে কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৪৬ ধরা হয়, তাহলে—
নতুন বেসিক: ৩৫৪০০ × ২.৪৬ = ৮৭০৮৪ টাকা
ডিএ: ০%
এইচআরএ (২৭%): ৮৭০৮৪ × ২৭% = ২৩৫১৩ টাকা
মোট বেতন: ১১০৫৯৭ টাকা

ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর কী?

বর্তমান বেসিককে যে গুণনীয়কের মাধ্যমে নতুন বেসিক নির্ধারণ করা হয়, সেটিকেই ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বলা হয়। এটি নির্ধারিত হয় মুদ্রাস্ফীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় এবং অন্যান্য আর্থিক সূচক বিবেচনা করে।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular