Organic Farming Journey: আমাদের সবার জীবনেই স্বপ্ন থাকে। একটা ভালো চাকরি, একটা ভালো গাড়ি আর একটা সুন্দর বাংলো কিনতে। কিন্তু কিছু মানুষ অন্যভাবে চিন্তা করেন। যাদের শুধু প্রয়োজন তাদের পরিবারের সমর্থন। তারা তাদের প্রিয়জনের কাছ থেকে দূরে থাকতে পারে না। এমনই একটি গল্প রাজস্থানের আলওয়ার জেলার এক যুবকের, যার গল্প আপনাকে অবাক করবে। হ্যাঁ, আমরা রাজস্থানের বাসিন্দা রজনীশ কুমারের কথা বলছি। যারা বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো শিক্ষা পেয়েছে। পড়াশোনা শেষ করে শুধু দেশেই নয়, বিদেশি কোম্পানিতেও চাকরি করেন। কিন্তু লাখ টাকার প্যাকেজও তাকে খুশি করতে পারেনি। তারপর একটা দিন এল যখন সে জৈব চাষ করার মনস্থির করল। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোথা থেকে এসেছে তার জীবনে এই ইউ-টার্ন…
লন্ডন থেকে দিল্লি যাত্রা
রজনীশ কুমার আলওয়ার শহরের একটি সরকারি স্কুল কাঙ্করিয়া থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। এরপর তিনি আজমিরের মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। তারপর তিন বছর সিএএস কোর্স করেন। যার কারণে তিনি সিএএস-এ চাকরি পান। কিছুদিন কাজ করার পর তিনি লন্ডনের একটি কোম্পানি থেকে একটি ভালো অফার পান, যার পর তিনি তার সিএএস চাকরি ছেড়ে লন্ডনে যান এবং সেখানে একটি বড় কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। লন্ডনে কাজ করতে করতে সময় কেটে গেল তিন বছর। কিন্তু এখন তার বাড়ির স্মৃতি তাকে কষ্ট দিতে শুরু করেছে।
রজনীশ কুমার তার পিতামাতার খুব স্নেহ করতেন। যার কারণে তিনি লন্ডনে চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ঠিক সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন তিনি লন্ডনের চাকরি ছেড়ে দিল্লিতে আসেন। এবং এখন তিনি এখানে একটি কোম্পানি থেকে ২৫ লাখ টাকার বার্ষিক প্যাকেজ নিয়ে চাকরি পেয়েছেন। তবে আগের মতো এবারও আকর্ষণীয় প্যাকেজে খুশি নন তিনি। এ কারণে চাকরি ছাড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর পর তারা এখন তাদের বাড়িতে ফিরে গেছে। এখান থেকেই তার জীবন ইউ-টার্ন নেয়।
চাষের শুরু
আজ রজনীশ জৈব চাষ করেন, তিনি বলেছিলেন যে তিনি তার খামারে বাজরা, গম, তুলা এবং অন্যান্য ধরণের সবজি চাষ করেন। এ জন্য তিনি জৈব সার ব্যবহার করেন।
উপার্জন
রজনীশের বাড়ির মোট জমি রয়েছে ১০ একর। তার বাবা পেশায় একজন কৃষক, কিন্তু চাষের এই পরিবর্তিত পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি সচেতন ছিলেন না। রজনীশ বৈজ্ঞানিক উপায়ে কৃষিকাজ শুরু করেন এবং নতুন কৃষি সরঞ্জাম ব্যবহার শুরু করেন। তিনি প্রতি বছর আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা আয় করেন।