গত তিন বছর ধরে একেবারেই ছন্দে নেই ইস্টবেঙ্গল। বলতে গেলে, হিরো আইএসএলে আসার পর কেটে গিয়েছে টানা তিনটে মরশুম। প্রত্যেকবার কোচ বদল করার পাশাপাশি খেলোয়াড় বদল করা হলেও খুব একটা আহামরী পারফরম্যান্স হয়নি লাল-হলুদের। গত মরশুমের শুরুটা কিছুটা ভালো হলেও সময় এগোনোর সাথে সাথে পিছিয়ে পড়তে হয় তাদের।
যারফলে, মরশুম শেষে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকেই শেষ হয় দলের অভিযান। সেই সমস্ত কিছু থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন মরশুমের জন্য শক্তিশালী দল গঠনে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। গতবারের অধিকাংশ ক্ষেত্রে বদল এনে নতুন করে দল গঠনের কাজে হাত দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন কে বিদায় জানিয়ে আইএসএল জয়ী কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত কে দেওয়া হয়েছে দলের দায়িত্ব। সেইসাথে দেশীয় ব্রিগেডের পাশাপাশি বিদেশি ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে ও দেখা দিয়েছে চমক।
পূর্বে ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে ওডিশা এফসির তারকা নন্দকুমার শেখর ও কেরালা ব্লাস্টার্স দলের তারকা ফুটবলার নিশু কুমার কে সই করিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এবার আজ সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও তিন তারকা। যাদের মধ্যে রয়েছেন মন্দাররাও দেশাই, এডুইন ভান্সপল ও হরমনজোত সিং খাবরা। এক্ষেত্রে মন্দার কিংবা এডুইন ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে নতুন হলেও ঘরে ছেলে তথা খাবরা কে আবার ঘরে ফিরিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ঘরে ফিরেই এবার আসন্ন মরশুমের জন্য মোহনবাগানকে হুশিয়ারি দিয়ে দিলেন এই তারকা।
আজ দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর তিনি বলেন, “আমি আমার পুরোনো ক্লাবে ফেরার জন্য যথেষ্ট উৎসাহিত। এই ফুটবল ক্লাব আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আবারও আমাকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে। দলের সকল সমর্থকদের সামনে নিজের একশো শতাংশ উজাড় করে দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি। বিশেষ করে আমি কলকাতা ডার্বি খেলার জন্য যথেষ্ট উৎসাহী।” সেইসাথে তিনি আরও বলেন, এখন থেকেই আমি কলকাতা ডার্বির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। বলতে গেলে ডার্বি জন্যই মুখিয়ে আছি। অতীতে এই ম্যাচেই আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতাম। এবার ও সেটাই করবো।
বলাবাহুল্য, গত ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলেছেন এই পাঞ্জাবি ফুটবলার। সেই সময় ময়দানে দূরন্ত ছন্দে থেকেছে ইস্টবেঙ্গল। টানা সাতটি মরশুম সিএফএল জেতার পাশাপাশি দুবার ফেডকাপ ও সুপার কাপ ও আইএফএ শিল্ড জিতেছিল লাল-হলুদ। পরবর্তীতে ইস্টবেঙ্গল ছাড়ার পরে ও চেন্নাইন ও বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে আইএসএল জিতেছেন খাবরা। এবার ঘরে ফিরে আদৌও কতটা সফল হন তিনি সেটাই দেখার বিষয়।