সুপার কাপ শেষ হওয়ার আগে থেকেই দল গঠনের ক্ষেত্রে ও যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে ওঠে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) শিবির। তবে বিদেশি নির্বাচনের বিষয়টি স্প্যানিশ কোচের উপর ছেড়ে দেওয়া হলেও দেশীয় ব্রিগেড কে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আগে খেলোয়াড় বাছাই করার কাজ শুরু করা হয় গত সুপার কাপের শেষলগ্ন থেকে।
সেই অনুসারে গত মাসের শুরু থেকেই শোনা যেতে থাকে যে ওডিশা এফসির তারকা ফুটবলার নন্দকুমার শেখর ও চেন্নাইন এফসির তারকা ফুটবলার ইভান ভান্সপল কে নাকি চূড়ান্ত করে ফলেছে ইস্টবেঙ্গল। সেইসঙ্গে কেরালা দলের ফুটবলার তথা লাল-হলুদের পুরোনো সৈনিক হরমনজোত সিং খাবরার সাথেও কথাবার্তা চূড়ান্ত করে নাকি সেরে ফেলা হয়েছে সই সাবুদ পর্ব। তবে সেখানেই শেষ নয়। দলের তিনকাঠি সামলানোর ক্ষেত্রে ভুকোমানোভিচের দলের তরুন গোলরক্ষক প্রভসুখান গিলের দিকে ও প্রথম থেকেই নজর রাখতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল।
সেইমতো গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কেরালার এই তরুণ প্রতিভাবানের সঙ্গে কথাবার্তা এগোতে থাকে ইমামি ম্যানেজমেন্ট। তবে আর্থিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় একটা সময় তা বেশিদূর এগোয়নি। তাছাড়া এই তারকার সঙ্গে কেরালার আরও এক বছর চুক্তি থাকার ফলে ট্রান্সফার ফি দিয়েই তাকে দলে নিতে চাইছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু পুরোনো দলের তরফ থেকে বিরাট অঙ্কের অর্থ দাবি করায় চুক্তি নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, প্রভসুখান কে ছাড়ার ক্ষেত্রে ট্রান্সফার ফি বাবদ প্রায় দেড় কোটি টাকা চাওয়া হয় তাদের তরফে।
যারফলে, এই তারকা কে নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আরও কিছুটা ভাবতে হয় ইমামি ম্যানেজমেন্ট কে। পরবর্তীতে তার বদলে আইএসএল খেলা অন্য তারকাদের দিকে নজর রাখতে শুরু করে ইমামি ম্যানেজমেন্ট। তবে এবার উঠে এসেছে নয়া তথ্য। শোনা যাচ্ছে, এই তরুণ গোলরক্ষক কে দলে টানতে অল আউট ঝাঁপিয়েছে কলকাতার এই প্রধান। তবে তাকে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে কেরল ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষে অর্থের পরিমাণ খানিকটা কমানোর কথা বলা হতে পারে।