বছর কয়েক আগে ভারতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন বিশ্বকাপ। শেষ পর্যন্ত দলের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো না হলেও নিজের সেরাটা দিয়েছিলেন তিনি। যারফলে, আর পিছনে ঘু্রে তাকাতে হয়নি। গত কয়েক মরশুম ধরে খেলছেন আইএসএল দল চেন্নাইন এফসি তে। এমনকি সুনীল ছেত্রী ও ইশান পন্ডিতার পাশাপাশি এবার ডাক পেয়েছেন ভারতীয় দলে। তিনি রহিম আলি। এবার তাকেই দলে টানতে মরিয়া লাল-হলুদ ব্রিগেড (East Bengal FC)। কিন্তু আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত তার পুরোনো দলের সঙ্গেই নাকি চুক্তি রয়েছে।
যারফলে, তাকে দলে টানতে হলে বাড়তি ট্রান্সফার ফি দিতে হবে ইমামি ইস্টবেঙ্গল কে। এক্ষেত্রে বেতন ও ট্রান্সফার ফি সহ খরচ করতে হতে পারে প্রায় ২ কোটি টাকা। যা নিয়ে এখনো দড়ি টানাটানি চলছে দুই পক্ষের মধ্যে। তবে রহিম কে নিজেদের দলে পেতে অনেকটাই আশাবাদী কলকাতার এই প্রধান।
গত কয়েকদিন আগেই দল থেকে প্রায় ১১ জন ফুটবলার কে ছাঁটাই করেছে ইস্টবেঙ্গল। যাদের মধ্যে ছিলেন সুমিত পাসি ও হিমাংশু জ্যাংড়ার মতো উঠতি ফুটবলাররা। তবে নাওরেম মহেশ সিং ও মোবাশিরের মতো তারকা দলে থেকে গেলেও একজন তরুণ প্রতিভা কে ব্যাপআপ হিসেবে রেখে দিতে চান কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। এক্ষেত্রে নাকি তার প্রথম পছন্দ রহিম আলি। সেইমতো এই তারকাকে দলে টানার চেষ্টা চালাচ্ছে ম্যানেজমেন্ট।
আজ থেকে প্রায় বছর কয়েক আগে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের হয়ে আইলিগ খেলতে এসেছিলেন রহিম। সেখানে ধরা দেন নিজের দুরন্ত ফর্ম নিয়ে। পরবর্তীতে ডাক পান ভারতের যুব বিশ্বকাপ দলে। তারপর আইএসএল জয়ী ক্লাব চেন্নাইন এফসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন এই বাঙালি তারকা ফুটবলার। প্রথম সিজেনেই প্রায় ঝড় তুলে দিয়েছিলেন রহিম। পরবর্তীতে ফের ডাক পান জাতীয় দলে। তবে সিনিয়র দলের সাথে এশিয়ান কাপে নামার আগেই চোটের জন্য ছিটকে যেতে হয় তাকে।
সেবার আর সম্ভব না হলেও পরবর্তীকালে নেপাল ও বাহিনীর মতো দেশের সঙ্গে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে দেখা যায় রহিম আলি কে। সেইসাথে ইগর স্টিমাচের তত্ত্বাবধানে থেকে সাফ কাপে ও খেলেছিলেন এই নয়া তারকা।ফরোয়ার্ডের পাশাপাশি উইং ধরে ও খেলতে পারেন তিনি। সেজন্য আগামী মরশুমে রহিম কে সামনে রেখে নিজেদের আক্রমন ভাগ সাজাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল।