এমনিতেই গত পুরভোটের ফলাফলে রাজ্যে (West Bengal) প্রধান বিরোধী দলের অস্তিত্ব বিধানসভায় সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে বিজেপি। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরও করুণ হাল-এমনই রিপোর্ট চলে গেল নাগপুরে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে উত্তরবঙ্গে দলের যা শক্তি তৈরি হয়েছিল তাও ভেঙে পড়েছে। সংঘ রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরী কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ না হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফল ভালো হওয়া মুশকিল। বাম শক্তি পুনরায় জমাট।
উত্তরবঙ্গে বিজেপি নেতাদের ভাবমূর্তি, কার্যকলাপ ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সন্দেহজনক রিপোর্ট পেশ করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। পঞ্চায়েত ভোটের নিরিখে তাদের সমীক্ষায় বিজেপির করুণাবস্থাকে তুলে ধরা হয়েছে।
নিজেদের সদর দফতর নাগপুরে এমনই রিপোর্ট পাঠিয়েছে আরএসএস পশ্চিমবঙ্গ শাখা। রিপোর্টে বলা হয়েছে নতুন কর্মী-নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে পুরনো কর্মীদের মধ্যে। অনেকে দল ছেড়ে চলে যাওয়াতেও বিজেপি নেতৃত্বের দূরদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রিপোর্টে উত্তরবঙ্গের জেলা ধরে ধরে বিজেপির সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংঘ।এতে বলা হয়েছে, মালদা জেলায় দলের টিকিট বণ্টন নিয়ে নেতৃত্বের মধ্যে বিবাদ চরমে উঠেছে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীরর বিরুদ্ধে সব জায়গায় খবরদারির অভিযোগ উঠেছে। তাকে সংগঠনের অনেকে মেনে নিতে চাইছেন না।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে গড়ে বিজেপির তিনটি করে গ্রুপ সক্রিয় বলে দাবি করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, পুরনো রাহুল সিনহা গোষ্ঠী, দেবশ্রী অনুগামী রয়েছে। আবার উত্তরবঙ্গে সাংসদ রাজু বিস্তার আলাদা টিম রয়েছে। মালদায় কে কার দলে বোঝা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
রিপোর্ট আলিপুরদুয়ারের অবস্থা আরও সঙ্গীন বলেছে সংঘ। বিধানসভায় ৫ এ ৫ করা আলিপুরদুয়ার এখন গড় ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। জেলায় বিজেপি সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলাকে নিয়ে দলের একটা অংশ বীতশ্রদ্ধ। জন বারলার ক্রমবর্ধমান সম্পত্তি নিয়ে ক্ষোভ জমা হয়েছে চা বলয়ে।
রিপোর্টে বলা হয়,বিজেপির টিকিট না পেলে বিক্ষুব্ধরা বিজেপির সরকারি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে লড়াই করতে কোনও দ্বিধা করবেন না। রিপোর্টে বলা হয়েছে কোচবিহার ও পাহাড়ের দুই জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বিজেপির অবস্থা খারাপ হয়েছে। বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে ঠেকেছে মানুষের।