আইপিএল ২০২৩ (IPL 2023) ফাইনালের দৌড় এলিমিনেটরেই থেমে গেল গম্ভীরদের। চেপকের মাঠে ৮১ রানে জিতে যায় রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ানস। শুরুতে টসে জিতেই ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় রোহিত। ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই আউট হয়ে যান রোহিত। নবীনের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে পাশেই আয়ুষ বাদোনির হাতে ধরা পড়লেন। করলেন বলতে দশ বলে মাত্র ১১ রান।
পরে পরেই ইশান কিশানও (১২ বলে ১৫) ফিরে যান। চেষ্টা করেন ক্যামেরন গ্রীন। অল্পের জন্য অর্ধশত রান হাতছাড়া হল তাঁর। শেষ দিন সেঞ্চুরি করা গ্রীন আজ ২৩ বলে ৩ ৪১ রান করেছেন। তবে তাঁকেও ফিরিয়ে দেন নবীন-উল- হক।
এরপর একে একে সূর্যকুমার যাদব (২০ বলে ৩৩), তিলক বর্মা (২২ বলে ২৬) এবং টিম ডেভিড (১৩ বলে ১৩)- সকলেই ফিরে যান।
রান উঠছিল না দেখে সুর্য কুমার যাদবের জায়গায় আনা হয় নেহাল ওয়েধেরাকে। যদিও পরের ইনিংসে ওই জায়গায় কুমার কারূতিকেয়াকে যাখার পরিকল্পনা করেছিল মুম্বই। তবে ওয়েধেরা আশাহত করেনি। ১২ বলে ২৩ রিন করেছেন তিনি। শেষ বলে যদিও আউট হয়ে যান নেহাল।
সব মিলিয়ে ১৮২ রান তোলে মুম্বই। এলেসজি-এর নবীন-উল-হক চার ওভারে ৩৮ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। রোহিত শর্মা ছাড়া তাঁর আরো তিনটে উইকেট হলো ক্যামেরন গ্রীন, সূর্য কুমার যাদব ও তিলক বর্মা। এছাড়া যশ ঠাকুর তিনটি ও মহসিন খান একটি উইকেট নেন। ১৮৩ তাড়া করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ঝর ঝর করে ভেঙে যায় লখনউএর ব্যাটিং অর্ডার।
কুইন্টন ডি’কক-এর জায়গা কাইল মায়ার্সকে রাখে লখনউ ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু মায়ার্স ১৩ বলে ১৮ রান করে ক্রিস জর্ডানের বলে প্যাভিলিয়ন ফিরে যান। সবারই প্রায় একই অবস্থা হলেও মার্কাস স্টয়নিস একটা শেষ চেষ্টা করেছিল। ২৭ বলে ৪০ করে শেষে রান আউট হয়ে যান। শুধু তিনি নন, দীপক হুডা এবং কৃষ্ণাপ্পা গৌথমও রান হন। ১০১ রানে লখনউএর সব উইকেট পরে যায়। উইকেট আগলে শেষ অবধি নবীনই দাঁড়িয়ে ছিলেন।
মুম্বইয়ের হয়ে মধিওয়াল নিঃসন্দেহে সাধুবাধের যোগ্য। তিন ওভার তিন বল করে দিলেন মাত্র পাঁচ রান, নিলেনও পাঁচ উইকেটও। এছাড়া ক্রিস জর্ডান ও পিয়ুশ চাওলা, দু’জনেই একটি করে উইকেট নিয়েছেন। ২৬-এ মে, অর্থাৎ শুক্রবার, গুজরাটের মুখোমুখি হবে মুম্বই আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে।