বেশ কয়েকদিন যাবৎ এক ঠান্ডা লড়াই যে সিএসকে শিবিরে চলছে, তা নিয়ে কারর সন্দেহ থাকার কথা নয়। এবং সেটি যে অনেকটাই রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja) কেন্দ্রিক, তাও বোঝার বাকি নেই। সোস্যাল মিডিয়াতে নানা রকম ভাবে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তবে ক্ষোভ ব্যাক্ত করার ধরণ বদলায় সময়মত। ঠিক যেমন কাল রাতে ম্যাচ জিতেই আজ ভোর রাতে ট্যুইট করলেন জাড্ডু।
রুতুরাজ গায়েকওয়াড বা ডেভন কনওয়ে ছাড়াও যে গতকাল জাড্ডুর অবদান অনেকটাই ছিল তা স্পষ্ট করে বলেও যান দলের অধিনায়ক ধোনি। তবুও, সমস্যা যে কোথায় হচ্ছে, ঠিক জানা যাচ্ছে না। গত বছর আশানুরূপ ফল না করায় সিএসকে ম্যানেজমেন্ট জাডেজাকে অধিনায়ক বানিয়েও পরে সেই আসন ফিরিয়ে দেন ধোনিকে। ন’নম্বরে শেষ করে চেন্নাই।
শোনা যায়, খটাখটির সূত্রপাত নাকি তখন থেকেই। “যুদ্ধ” হয়তো থিতিয়েছে, এমন ভাবতে না ভাবতেই আবার সব জেগে ওঠে। এই বছর টুর্নামেন্ট শুরু হতেই সোসাল মিডিয়াতে এটা সেটা পোস্ট করতেই থাকেন জাড্ডু। পোস্টগুলি অসংগতি যে ইঙ্গিত করে না, তাও নয়। এদিকে কোনো নামও উল্লেখ করেন না তিনি।
এদিন যদিও ভক্তদের উদ্দেশ্যে তাঁর অভিমান ছুঁড়ে দিলেন জাডেজা। গুজরাটের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ১৬ বলে ২২ রান করেন তিনি। বল হাতে নেন দুই উইকেটও- দাসুন শানাকা এবং ডেভিড মিলার। চার ওভারে মাত্র আঠারো রান দিয়ে দুই উইকেট নেন। পান, “আপস্টক্স মোস্ট ভ্যালুয়েবেল অ্যাসেট অব দ্য ম্যাচ”- এর পুরস্কার। তারপরেই জাডেজা ছবি দিলেন, লিখলেন, “আপস্টক্স জানে, শুধু কিছু ভক্তরা জানে না!”
এই বছর ধোনির শেষ আইপিএল ভেবে দেশের সব গ্যালারি হলুদ জার্সিতে ভরিয়ে দিয়েছিল ভক্তরা। “ধোনি” “ধোনি” চিৎকারে কান পাতা দায়! মুশকিল হলো, জাডেডা নেমে রান করলেও ভক্তদের সমস্যা। তারা শুধু ধোনিকে দেখতে চায়। তাতে যদি জাডেজাকে প্যাভিলিয়ন ফেরতও যেতে হয়, সমস্যা নেই!হয়তো বা তারই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাড্ডু, কে বলতে পারে!