টানা তিনটি আইএসএল মরশুমে কার্যত ধরাশায়ী হতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ব্রিগেডকে । শুরুর দিকে যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স থাকলেও ম্যাচ যত বেড়েছে ততই পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে স্থান পেয়েছে ক্লেটন-সার্থকরা। যা দেখে রাগে ফুঁসতে শুরু করেছে লাল-হলুদ জনতা। পাশাপাশি ক্রমশ অস্বস্তি বাড়তে থাকে ক্লাবের অন্দরে।
তাই দেশের এই সর্বোচ্চ লিগ টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পরেই নিজেদের লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসে ক্লাবের সাবেক কর্তারা। ঠিক করা হয় সুপার কাপের পড়েই স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন কে ছাঁটাই করে কোনো সফল কোচ কে দেওয়া হবে দলের দায়িত্ব।
সেইমতো গত মার্চ মাসের শেষের দিকেই ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন কে বিদায় জানিয়ে দুই মরশুমের জন্য স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত কে দেওয়া হয় দলের ভার। একটা সময় তার চেষ্টার জোরেই প্রথমবারের মতো আইএসএল জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। সেকথা মাথায় রেখে এবার তাকেই ভরসা করল ইস্টবেঙ্গল। সেইসাথে ভারতীয় স্কোয়াড কে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নন্দকুমার শেখর ও হরমনজোত সিং খাবরার মতো খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথাবার্তা বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যায় দল। তাদের মতোই এবার তারুন্যের উপর নজর রেখে চেন্নাইন এফসির তারকা ফরোয়ার্ড রহিম আলি কে আনতে মরিয়া ছিল ইস্টবেঙ্গল।
তবে এক্ষেত্রে প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ট্রান্সফার ফি সহ অন্যান্য শর্ত। রহিম কে ছাড়ার ক্ষেত্রে চেন্নাইন এফসির তরফে ১ কোটি টাকা ট্রান্সফার ফি সহ দুইজন ফুটবলার কে ছাড়ার কথা জানানো হয়। যা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয় লাল-হলুদের অন্দরে। সেজন্য তার বিকল্প হিসেবে আরেক ভারতীয় তরুণ কে দলে টানতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। তিনি বেঙ্গালুরু এফসির হরমনপ্রীত।
তবে গত আইএসএল মরশুমে তিনি সুনীল ছেত্রীদের সঙ্গে বেঙ্গালুরুর স্কোয়াডে থাকলেও সেরকম ম্যাচ টাইম পাননি এই তরুন তারকা। দলের জার্সিতে খেলেছেন মাত্র একটা ম্যাচ। সেজন্য তার পারফরম্যান্স নিয়ে ও উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। তাছাড়া দলের মধ্যে নাওরেম মহেশ সিং থেকে শুরু করে ভিপি সুহেরের মতো তারকা আগে থেকেই রয়েছেন। পাশাপাশি দলে আসার সম্ভাবনা প্রবল নন্দকুমারের। তাই সমস্ত দিক বিবেচনা করে রহিম আলির থেকে নাকি ক্রমশ মুখ ফেরাচ্ছে ইমামি ম্যানেজমেন্ট।