Bangladesh: প্রাণঘাতী সিডরের মতো শক্তিশালী মোকা, নেমেছে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী

মোকা ঘূর্ণি ঝড়ের পূর্বাভাস থাকলেও আগে থেকে উদ্ধার কেন নয়? দ্বীপবাসীর প্রশ্নের মুখে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। প্রবল শক্তি নিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে সামুদ্রিক…

মোকা ঘূর্ণি ঝড়ের পূর্বাভাস থাকলেও আগে থেকে উদ্ধার কেন নয়? দ্বীপবাসীর প্রশ্নের মুখে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।

প্রবল শক্তি নিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় মোকা (Mocha Cyclone) বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলে আঘাত করবে। বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আসাদুর রহমান বলেন, ‘ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় সিডরের (Sidr Cyclone) মতো শক্তিশালী মোকা। সিডর বাংলাদেশের মাঝ বরাবর দিয়ে গিয়েছিল আর মোকা পাশ দিয়ে যাচ্ছে। প্রায় সিডরের সমতুল্য গতিবেগ নিয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে এই ঘূর্ণিঝড়।

কী হয়েছিল সিডরে?
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের উপর আঘাত করেছিল সামুদ্রিক ঘূর্ণি সিডর। আঘাতের সময় সিডরের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার। উপকূলে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছিল। এর ফলে বাংলাদেশে হাজার হাজার প্রাণহানি হয়।

আশঙ্কা সিডরের মত শক্তিশালী মোকার আঘাতে বাসিন্দাদের নিয়েই ডুবে যাবে বিখ্যাত সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। এই দ্বীপে যারা আছেন তাদের বেঁচে থাকা অনিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে উদ্ধার অভিযানে তৈরি বাংলাদেশ নৌ-বিমান-উপকূলরক্ষী বাহিনী। এখানেই উঠছে প্রশ্ন ঝড়ের পূর্বাভাস থাকলেও আগে থেকে উদ্ধার কেন নয়? দ্বীপবাসীর প্রশ্নের মুখে শেখ হাসিনার সরকার।

কী হতে চলেছে?
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের প্রাক্তন বিজ্ঞানী ড. আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, মোকার প্রভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ জলের নিচে চলে যাবে এটা নিশ্চিত। তবে সেটা স্থায়ীভাবে নয়। তবে জল দ্রুত বের হয়ে যাবে। কারণ, চারপাশে খোলা সৈকত। মানে একপাশে দিয়ে জল আসলেও আরেক পাশ দিয়ে বের হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, মোকা উপকূলে আসার সাথে সাথেই জলোচ্ছ্বাস শুরু হবে। জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস মিলিয়ে ২০ থেকে ২২ ফুট উচ্চতার ঢোউ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আর সেন্টমার্টিনে এই উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হলে পুরো দ্বীপটি জলের নিচে তলিয়ে যাবে।