২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী দলগুলি। ২০২৩ এর নির্বাচনের আগে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলেই কড়া ব্যবস্থা। বাঁকুড়ের একসভা থেকে এমনটাই দাওয়াই দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP Leader Dilip Ghosh)।
এদিন তিনি বলেন, ভোট লুঠের চেষ্টা করলে ভালো করে ট্রিটমেন্ট করবেন যাতে হাসপাতাল যেন বাড়ি হয়ে যায়। হাসপাতালের ট্রিটমেন্টের আগে আপনারা ট্রিটমেন্ট করবেন। গরিব মানুষকে ধোকা দিয়ে ভোট লুঠ করতে দেব না। কাঁচা বাঁশের লাঠি তৈরি রাখুন।
একইসঙ্গে কৌশলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কর্মসূচিকেও কটাক্ষ করেন মেদিনীপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, মহিলাদের ৫০০ টাকা দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য রাজত্ব কিনে নিলেন? আসলে ওই টাকা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তোমাদের ছেলেমেয়েদের চাকরি কিনে নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। দোষ তাঁর নয়। যে সমাজ ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়, তাঁদের কেন্দ্রের পাঠানো চাল খেয়েই বেঁচে থাকতে হয়। তাঁরা বেশি কিছু আশা করতে পারেন না।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, পাঁচ বছরে এই তৃণমূলের কাছ থেকে আপনারা কি পেয়েছেন? তৃণমূল ভোট চাইতে এলে তা জানতে চাইবেন। এখনও মানুষকে জলের জন্য অনেক দূরে যেতে হচ্ছে। রাস্তাঘাট নেই। পাকা বাড়ি নেই অধিকাংশ মানুষের। অথচ কেন্দ্র ৫৬ লক্ষ পরিবারের জন্য আবাস যোজনার টাকা পাঠিয়েছিল। ভুয়ো জবকার্ডে টাকা তুলে তৃণমূল নেতারা একশো দিনের প্রকল্পের টাকা আত্মস্যাৎ করেছে। তাঁর দাবি, এবার ওন্দায় একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়লাভ করবে বিজেপি।
শনিবার কেন্দ্রীয় হারে ডিএ সহ একাধিক দাবিতে মহামিছিলে নামে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিলও নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীর কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসাকারীদের জিভ টেনে ছিঁড়ে দিন। এটাই হবে আগামী দিনে আন্দোলনের রূপরেখা। রবিবার সকালে শাসক দলকে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, এবার সময় আসছে। এই ধরনের পাগলের মতো কথাবার্তা বলে, তাঁদের কি হয় এবার দেখুন। দেশে আইন কানুন রয়েছে। সব হিসেব মিটিয়ে দেবে ওরা।