২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ (West Bengal) রাজনীতিতে প্রতিদিন যোগদানের মেলা চলত বিজেপি শিবিরের। শোয়ে শোয়ে যোগদান দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন পরিবর্তনের পরিবর্তন এল বলে। বিজেপির পাল্লাভারি না হলেও বিলীন হয়ে যায় বাম ও কংগ্রেস শিবির। এখন উপনির্বাচনের হাওয়ায় ফিরেছে কংগ্রেসের নৌকা। বিধানসভায় সেটা কতটা সক্রিয়? সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার আগে সংগঠন নিয়ে প্রশ্নের মুখে গেরুয়া শিবির।
উত্তরবঙ্গে বিজেপির হাওয়া কতটা রয়েছে? সেটার জন্য এখন থেকেই জল মাপা শুরু করেছে রাজ্য নেতৃত্ব৷ জেলায় তবে দক্ষিণবঙ্গে একের পর এক কর্মীদের দলবদল, বিশেষ করে তৃণমূল থেকে সিপিএমে ঘুম উড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের জন্য৷ কারণ, বীরভূমের সভা থেকে অমিত শাহ ৩৫ এর টার্গেট বেঁধে দিয়েছে রাজ্যের নেতাদের জন্য৷ দিল্লির নেতাদের দিকে না তাকিয়ে নিজেদেরই লড়াই করার মূলমন্ত্র বেঁধে দিয়েছেন জেপি নাড্ডা। তবুও কোথাও একটা ফাঁকে থেকে যাচ্ছে।
একের পর এক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে একের পর এক শাসক দলের নেতারা গ্রেফতার হতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল৷ সেটাই খুব কম সময়ের জন্য বিজেপি কর্মীদের বুস্ট আপ করলেও সেটা ক্ষনস্থায়ী৷ মূল সমস্যা সংগঠনে৷ দুর্বল সংগঠনের কারণে পঞ্চায়েতে সমস্ত আসনে প্রার্থী দিতে পারবে রাজ্যের বিরোধী দল? এই প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে৷
অন্যদিকে, স্বচ্ছতার পক্ষে সওয়াল করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বামেরা। নেতা নয়, কর্মীদের নিয়েই সংগঠনের হাল ফেরাতে চায় তাঁরা। তাই নিত্যদিনে যোগদান মেলা লেগেই রয়েছে বাম শিবিরে৷ অন্যদিকে, একই ছবি কংগ্রেসেও৷ সংখ্যা কম হলেও কখনই কংগ্রেসে যোগদানের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তবুও বাম শিবিরে যেভাবে যোগদানের হিড়িক লেগেছে, তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাহেরপুরের মতো একটা দুটো চমক দিতে পারলেই চাপে পড়ার মতো অবস্থা হবে বিজেপির জন্য৷