গত ফুটবল মরশুমের একেবারে প্রথম থেকেই দক্ষ ফরোয়ার্ডের সমস্যায় ভুগেছে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। একাধিক ম্যাচে ভালো খেলেও শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট মাঠে ফেলে আসতে হয়েছে বাগান শিবিরকে। যার অন্যতম কারন হল উপযুক্ত ফরোয়ার্ড লাইনের অভাব। তাই সমস্ত কিছু মাথায় রেখেই আগামী মরশুমের জন্য দল গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। এক্ষেত্রে গত কয়েকমাস ধরেই এক বিদেশি তারকাকে আনার কথা শোনা যাচ্ছিল সবুজ-মেরুনের অন্দর থেকে।
সেইমতো অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় লিগ খেলা জেসন স্টিফেন কামিন্সের এজেন্টের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে বাগান শিবির। বর্তমানে সেই দেশের সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে ফুটবল খেলছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, গত বেশকিছু বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের দায়িত্ব ও সামলে আসছেন এই ফরোয়ার্ড। আগামী দুই মরশুমের জন্য তাকেই দল টানতে চাইছে এটিকে মোহনবাগান।
তবে এক্ষেত্রে বাঁধ সেধেছে বাজেট সমস্যা। যতদূর জানা গিয়েছে, তাকে দলে পেতে গেলে প্রায় ৩ কোটি টাকা ট্রান্সফার ফি দিতে হবে অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্স কে। তারপরে বাজার দর কমিয়েও প্রায় ৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বেতন দিতে হবে ২৭ বছরের এই তারকা ফুটবলার কে। যা নিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাওয়ার জোগাড় সবুজ-মেরুনের।
তাই একটা সময় তাকে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিল দল। তবে পরবর্তীতে ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে ফের যোগাযোগ করা হয় তার এজেন্টের সঙ্গে। শোনা গিয়েছে, এবার ও বাজার দর কিছুটা কমানোর আর্জি জানানো হয়েছে কামিন্স কে। যদি সাড়ে সাত কোটি টাকার বদলে পাঁচ কোটি টাকায় রাজি হন কামিন্স, তাহলে আগামী মরশুমের জন্য তাকেই সই করাবে এটিকে মোহনবাগান দল।
তবে শুধু কলকাতার এই প্রধান’ই নয়, কামিন্সের উপর দীর্ঘদিন নজর রেখেছে মুম্বাই সিটি এফসি। শোনা যাচ্ছিল, মোহনবাগানের অফার শোনার পর মুম্বাই উড়ে গেছিলেন কামিন্সের এজেন্ট। সেখানে ও নাকি একপ্রস্থ কথা চলেছে দুই পক্ষের। বর্তমানে আর এগোয়নি কোনো কিছুই। তাই শেষ পর্যন্ত তিনি মোহনবাগানে আসেন কিনা এখন সেটাই দেখার।
তবে এই অজি তারকা শহরে আসলে দল যে আরো শক্তিশালী হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। বর্তমানে দলের গোল করার ক্ষেত্রে দিমিত্রি পেত্রাতোস এগিয়ে থাকলেও তিনি সেই পজিশনে একেবারেই অনভ্যস্ত। তাই আগামী মরশুমের জন্য তার সতীর্থ কে দলে নিতে চাইছে মোহনবাগান। বলাবাহুল্য, এবারের এই কাতার বিশ্বকাপে দিমিত্রি পেত্রাতোসের সঙ্গেই দলে ছিলেন জেসন কামিন্স।