পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অয়ন শীলের ফ্ল্যাট থেকে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সিবিআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

Supreme Court

short-samachar

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অয়ন শীলের ফ্ল্যাট থেকে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সিবিআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে সোমবার এই মামলাটির শুনানি।

সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন শীলের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। একাধিক ঠিকানা থেকে উদ্ধার হয় পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য। সেই তথ্যকে কেন্দ্র করেই সিবিআইকে পুরসভায় তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশে বলেন, প্রয়োজনে নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২৮ তারিখের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

   

হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ২০০ কোটির হদিশ পেয়েছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ধৃত অয়ন শীল পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিতে ২০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। এ কথা অয়ন জেরায় স্বীকার করেছেন, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রাজ্যের প্রায় সবকটি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করেছে ইডির। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

ইডির কলকাতা জোনাল অফিসের অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর মিথিলেশ কুমার মিশ্র ওই রিপোর্ট আদালতে জমা দেন। উল্লেখ্য, কাঁচড়াপাড়া, নিউ ব্যারাকপুর, কামারহাটি, বরানগর, টিটাগড়, হালিশহর পুরসভা রয়েছে ইডির স্ক্যানারে। এছাড়াও আরও ৩০ টি পুরসভার তথ্যের ওপর চোখ রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। উঠে এসেছে একাধিক পুরসভার নাম। তার মধ্যেই
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য।