চলতি মরশুমে ও একেবারে হতশ্রী পারফরম্যান্স থেকেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) শিবিরে। শুরুতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও সময় যত এগিয়েছে ততই মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। যারফলে টানা তিনবছর লিগ টেবিলের তলানিতে থেকে মরশুম শেষ করতে হয়েছে তাদের। সেইসাথে রয়েছে টানা আটবার ডার্বি হারার যন্ত্রনা।
এই পরিস্থিতিতে সুপার কাপ শুরু হওয়ার আগেই নিজেদের লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসে ইস্টবেঙ্গলের সাবেক কর্তারা। ঠিক হয় সুপার কাপের পরেই দল থেকে ছেটে ফেলা হবে বর্তমান কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনকে। বর্তমানে তিনি শহরে থাকলেও মাসখানেক পরেই ফিরে যাবেন এই ব্রিটিশ কোচ। তবে আগামী মরশুমের কোচ চূড়ান্ত করতে গিয়ে একেবারে নাজেহাল দশা ইমামি ইস্টবেঙ্গলের।
গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই কোচ নির্বাচনের ক্ষেত্রে একাধিক হাইপ্রোফাইল নাম উঠে আসছিল লাল-হলুদের অন্দর থেকে। যাদের মধ্যে ছিলেন সার্জিও লোবেরা, কার্লোস কুয়াদ্রাত, অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাস। তবে বাকিদের তুলনায় স্প্যানিশ কোচ সার্জিও লোবেরা দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে থাকলেও ইদানিং ইস্টবেঙ্গল নিয়ে নাকি আগ্ৰহ হারিয়েছেন মুম্বাই সিটির এই আইএসএল জয়ী কোচ। যারফলে, চিনের সিচুয়ান থেকে এনওসি নিয়ে ভারতে আসলেও কলকাতায় আসার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। এক্ষেত্রে ওডিশা কিংবা হায়দরাবাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন তিনি। সেজন্য এখন থেকেই বিকল্প খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে ইমামি ম্যানেজমেন্ট।
এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে বেঙ্গালুরু এফসির আইএসএল জয়ী কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। শোনা গিয়েছে, ক্লাবের তরফ থেকে তাকে ও নাকি চুক্তি পত্র পাঠিয়েছে লাল-হলুদ শিবির। তবে দলের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু শর্ত দিয়েছেন এই স্প্যানিশ কোচ। আসলে বেশকিছু চেনা মুখ আনতে চাইছেন কুয়াদ্রাত। এক্ষেত্রে সবার আগে উঠে এসেছে দলের চিফ টেকনিক্যাল হিসেবে মন্দার তামহানের নাম। বলাবাহুল্য, সুনীল ব্রিগেড কে আইএসএল জেতানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই টিম ম্যানেজারের। তবে আগের মরশুমেই বেঙ্গালুরু ছেড়েছেন তিনি। কিন্তু কুয়াদ্রাত লাল-হলুদের দায়িত্ব নিলে তার আসার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। শেষ পর্যন্ত কার হাতে ওঠে ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব এখন সেটাই দেখার।