নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (TMC MLA Jiban Krishna Saha) বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে৷ তার বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন আন্দির স্থানীয় বাসিন্দারা। জাল সার্টিফিকেট থেকে চাকরি বিক্রি সবেতেই হাত পাকিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। বিস্ফোরক অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথমে বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য জাল সার্টিফিকেট বানানো। ওই সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, পুলিশ অফিসার এসে ধর্না দিয়ে পড়ে থাকতেন জীবন সাহার কাছে চাকরির জন্য। কত পুলিশ অফিসার এসে বসে থাকতেন যে, আমার ছেলের চাকরি করে দিন। জানে না ? এটা সরকারের অজানা ছিল? প্রশ্ন জীবনকৃষ্ণের প্রতিবেশীদের৷
১৪ সাল থেকে দুর্নীতি শুরু করেছিল জীবনকৃষ্ণ। তখন প্রাইমারি ছিল ৯ থেকে ১০ লাখ। নবম-দশম ছিল ১৬-১৭। আর, আপার প্রাইমারি ছিল ১৩-১৪। কয়েকশো কোটি টাকা চাকরি প্রার্থীদের কাছে থেকে তুলেছে জীবনকৃষ্ণ। আবার কারোর কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, জীবনকৃষ্ণ গ্রেফতার হতেই, তাঁর শ্যালক নিতাই সাহা যে স্কুলের শিক্ষক, সেই পিয়ারাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিসে বাড়তি একটি তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। নথি যাতে না লোপাট হয়, সেটাই চাইছেন তিনি৷