D2 Gang Connection: মাফিয়া আতিক ও আশরাফ হত্যা মামলায় বড়সড় প্রকাশ করল এসটিএফ। এ ই হত্যাকাণ্ডে ডিটু গ্যাংয়ের যোগসূত্র সামনে আসছে। বলা হচ্ছে, যে বন্দুক দিয়ে আতিক-আশরাফকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা সেটি সাজিয়েছিল ডিটু গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য বাবর। এই হত্যাকাণ্ডে D2 গ্যাংয়ের নাম যুক্ত হওয়ার পর থেকেই সতর্ক হয়ে উঠেছে ইউপি পুলিশ। এই চক্রটি তোলাবাজি, খুনের মতো অনেক অপরাধমূলক ঘটনা ঘটিয়েছে।
২০১০ সালে D2 গ্যাং প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, আবারও এই গ্যাং ইউপিতে আবার ফুলে উঠেছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, এনকাউন্টারে বেশ কয়েকজন গ্যাং সদস্য নিহত হয়েছে। একই সঙ্গে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। এই চক্রের মূল হোতা তৌফিক ওরফে বিল্লু, যার নির্দেশে হত্যার মতো ঘটনা ঘটাতেও পিছপা হয় না গ্যাং সদস্যরা। কিন্তু, ২০০৪ সালে পুলিশ তাকে এনকাউন্টারে হত্যা করে।
বিল্লুর মৃত্যুর পর, ডি টু গ্যাং ভেঙে যেতে শুরু করে, তারপর তার ভাই রফিক এই গ্যাংয়ের কমান্ড নেন। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে একাধিক টিম রফিকের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ শুরু করে। এরপর ২০০৫ সালে গ্রেফতার হন রফিক। পুলিশের নিরাপত্তায় তাকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ডি-৩৯ পারভেজ গ্যাংকে অভিযুক্ত করা হয়।
অপরাধের অর্থ দিয়ে ক্রয়কৃত সম্পত্তি
D2 গ্যাং সম্পর্কে বলা হয় যে এই গ্যাংয়ের সদস্যরা দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাং দ্বারা ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত ছিল। তিনিও দাউদের মতো অপরাধ জগতে নাম লেখাতে চেয়েছিলেন। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল ইউপি। এই গ্যাংয়ের অনেক সদস্য দাউদ গ্যাংয়ের সাথে জড়িত বলেও বলা হয়। ইউপি ছাড়াও অনেক জায়গায় অপরাধের আয় থেকে সম্পত্তি তৈরি করেছেন। এই চক্রের সদস্যরা ইউপি ছাড়াও দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে ঘটনা ঘটাতে থাকে।
বিল্লুর ভাই রফিক দীর্ঘদিন ধরে হায়দরাবাদে অপরাধ জগতে সক্রিয় ছিল। এখানে তামাক ব্যবসা করে অপরাধ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন। একইসঙ্গে গ্যাংয়ের আরেক সদস্য শফিক সম্পর্কে বলা হয়, সে দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তিনি সক্রিয়ভাবে দাউদকে মুম্বাইয়ের অন্য গ্যাংকে নির্মূল করতে সাহায্য করেছিলেন। বাবর ডিটু গ্যাংয়ের সবচেয়ে সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে কানপুরের অনেক থানায় চাঁদাবাজি ও খুন সহ কয়েক ডজন গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে। এসটিএফ সূত্রে খবর, যে সময়ে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেই সময়ে বাবরের মোবাইল লোকেশন ছিল কানপুর।