ভারতীয় রেল (Indian Railways) যাত্রীদের যাত্রা থেকে প্রতিদিন আয় করে। এ ছাড়া তারা এখান থেকে পণ্য পরিবহন এবং বিজ্ঞাপন দিয়েও আয় করেন। কিন্তু, খুব কমই কেউ জানেন যে, রেল বলিউড থেকেও প্রচুর আয় করে। হ্যাঁ, রেলওয়ে বলিউড থেকেও প্রচুর আয় করে। যে রেল স্টেশনগুলি আপনাকে ফিল্ম এবং সিরিয়ালে দেখানো হয় সেগুলি তাদের অর্থ উপার্জন করে।
জানুন রেলওয়ে বলিউডের সাথে কতটা ব্যবসা করে এবং কোন স্টেশনগুলি শীর্ষে রয়েছে। চলচ্চিত্রে রেলওয়ে স্টেশন ব্যবহার করার জন্য, চলচ্চিত্র পরিচালক এবং প্রযোজকদের এর জন্য রেলকে টাকা দিতে হয়। যার কারণে কোটি টাকার ব্যবসা করে রেল।
শুটিং থেকে বছরে কোটি টাকা আয় করে রেল
মুম্বাইয়ের ওয়েস্টার্ন রেলওয়ের মতে, বলিউডের ছবির শুটিং থেকে তারা বছরে কোটি টাকা পায়। অনেক বিখ্যাত চলচ্চিত্রের শুটিং হয় রেলস্টেশনে। যার জন্য রেল তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। জানলে অবাক হবেন, তবে মুম্বাইয়ের পশ্চিম রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থ বছরে রেল আয় করেছে ১ কোটি ৬৪ হাজার টাকা। এর আগেও আয় করেছে ৬৭ লাখ এবং ১ কোটি টাকা। তবে রেলওয়েতে করোনার প্রভাব পড়েছে এবং বলিউডের ছবির শুটিং করা যায়নি।
এসব ছবির শুটিং হয়েছে
রেলওয়ের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে এই স্টেশনে বলিউডের অনেক সিনেমার শুটিং হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অক্ষয় কুমারের ওএমজি, ইরফান খানের লাঞ্চ বক্স, টাইগার শ্রফের হিরো প্যান্টি-২, অক্ষয় কুমারের এয়ারলিফ্ট এবং শের শাহ। এর পাশাপাশি শাহরুখের একাধিক ছবির শুটিংও হয়েছে রেলস্টেশনে। চেন্নাই এক্সপ্রেসের মতো দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে এবং অক্ষয় কুমারের হলিডে মুভির শুটিংও হয়েছে স্টেশনে।
শুধু সিনেমা নয়, ওয়েব সিরিজের শুটিংও রেলওয়ে স্টেশনে করা হয়েছে যেমন ব্রীথ ইনটু দ্য শ্যাডোস, ডংরি থেকে দুবাই এবং কেবিসি প্রোমো এবং অনেক বিজ্ঞাপনও রেলওয়েতে শ্যুট করা হয়েছে। এই সব থেকে রেল অনেক আয় করে। বলিউডে শুটিংয়ের অনুমতি দিতে রেলওয়ে সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু করেছে। যার অধীনে প্রোডাকশন হাউসগুলো কিছু নথি দিয়ে শুটিংয়ের অনুমতি পায়।
এসব স্টেশন থেকে জোরালো ব্যবসা হয়েছে
মুম্বাইয়ের কথা বললে, মুম্বাই সেন্ট্রাল টার্মিনাস, চার্চগেট, সবরমতি স্পোর্টস গ্রাউন্ড, গোরেগাঁও স্টেশন, যোগেশ্বরী এটি, লোয়ার পারেল ওয়ার্কশপ, কান্দিভালি, কেলভে রোড, পারডি রেলওয়ে স্টেশন, কালাকুন্ড রেলওয়ে স্টেশন, পাতালপানি রেলওয়ে স্টেশন এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও চেন্নাইয়ের রেলস্টেশন, মুম্বাইয়ের বান্দ্রা টার্মিনাস, পাঞ্জাব রেলওয়ে স্টেশনও এই তালিকায় রয়েছে।