Indian Army News: ভারত এ পর্যন্ত চারটি বড় যুদ্ধ করেছে। দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুই পাশের প্রতিবেশীরাই ভারতের শত্রু। দেশকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। পাকিস্তান যদি সন্ত্রাসের যোগানদাতা হয়, তাহলে চিন সম্প্রসারণবাদের নীতি নিয়ে এগিয়ে যায়। এ দুটির সঙ্গে পাল্লা দিতে সেনাবাহিনীকে উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এই মুহূর্তে ভারতের তিনটি সেনাই সব পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত।
কিন্তু থিয়েটার কমান্ড প্রয়োজন৷ অর্থাৎ তিন শক্তিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ভারতে বর্তমানে ১৭টি ভিন্ন কমান্ড রয়েছে। এবং আন্দামান ও নিকোবরে একটি থিয়েটার কমান্ড রয়েছে। আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এখনও তিনটি শক্তি একসাথে কাজ করে। কিন্তু কেন থিয়েটার কমান্ড (হোয়াট ইজ থিয়েটার কমান্ড) আবশ্যক। আসলে এখন স্থল, জল ও বিমান বাহিনীর আলাদা ঘাঁটি রয়েছে।
তিন বাহিনী একসঙ্গে লড়বে
১৯৯৯ সালে যখন কার্গিল যুদ্ধ হয়েছিল, তখন বিমানবাহিনীর প্রয়োজন অনুভূত হয়েছিল কিন্তু পৌঁছতে অনেক সময় লেগেছিল। শত্রু এগিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু বিমানবাহিনী সময়ের আগেই টেক অফ করে এবং শত্রুদের ছদ্মবেশ ধারণ করে। থিয়েটার কমান্ডে তিনটি পরিষেবার মিশ্রণ থাকবে। যেখানে তিন বাহিনীর সৈন্যরা একসঙ্গে প্রস্তুত থাকবে। প্রাক্তন সিডিএস বিপিন রাওয়াত এর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব থিয়েটার কমান্ড গঠন করা হোক।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল মধ্যপ্রদেশে সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। এতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রতি দুই বছরে একবার কম্বাইন্ড কমান্ডার্স কনফারেন্স (CCC) সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে থিয়েটার কমান্ডের ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর পরে, সিডিএস অনিল চৌহান ওয়েস্টার্ন নেভাল কমান্ড পরিদর্শন করেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে যৌথ কমান্ডে কাজ করছেন। এখানে সাক্ষাৎ শেষে তিনি দক্ষিণে সেনা সদর দফতরে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী মোদির বার্তার পরে, এখন সিডিএস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি কার্যকর করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর বার্তার পরে সিডিএস চৌহান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব থিয়েটার কমান্ডের কাছে এটি পাঠাতে চান। অনিল চৌহান অতীতে ওয়েস্টার্ন নেভাল কমান্ড এবং মাজাগন ডকইয়ার্ডস লিমিটেড পরিদর্শন করেছিলেন। এর পরে আজ পুনেতে দক্ষিণ কমান্ডের সদর দফতরে অফিসারদের সাথে দেখা করেন। দেখে মনে হচ্ছে সিডিএস থিয়েটার কমান্ড আগামী দুই বছরে তিনটি পরিষেবার সাথে সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় হবে।