গতমাসের মাঝামাঝি সময়েই শেষ হয়েছে হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। তবে অন্যান্য বছর গুলির ন্যায় এখনি শেষ হচ্ছে না ভারতীয় ফুটবলের (Indian football) মরশুম। নির্ধারিত সূচি অনুসারে গত ৩রা এপ্রিল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ কাপ টুর্নামেন্ট। সুপার কাপ।
ইতিমধ্যেই একটি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে বেঙ্গালুরু ও কেরালার মতো আইএসএলের হেভিওয়েট দল গুলি। আজ মাঠে নামবে এটিকে মোহনবাগান। তবে এই সুপার কাপ আয়োজন নিয়ে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। আসলে আই লিগের পাশাপাশি আইএসএলের হেভিওয়েট দল গুলিকে নিয়ে আয়োজিত সুপার কাপের ব্যবস্থাপনা দেখে হতাশ প্রত্যেকেই।
জানা গিয়েছে, এবারের এই কাপ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি দলকেই নাকি অনুশীলনের জন্য দেওয়া হয়েছে একটি মাত্র মাঠ। এছাড়াও দলের খেলোয়াড়দের রাখা নিয়ে ও তৈরি হয়েছে একাধিক সমস্যা। শোনা গিয়েছে, উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় বেঙ্গালুরু এফসির মতো দলের ফুটবলারদের নাকি রাখা হয়েছে আলাদা আলাদা স্থানে। পাশাপাশি অনুশীলনের ক্ষেত্রে ও দেখা দিয়েছে আলোর সমস্যা। সেজন্য অনুষ্ঠান বাড়ির লাইট ভাড়া করে অনুশীলন চালাতে হয় ইস্টবেঙ্গল ও এফসি গোয়ার মতো দল গুলিকে।
যারফলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দলের ফুটবলারদের। তবে এখানেই শেষ নয়, সুপার কাপ খেলার জন্য প্রত্যেকটি দল কে নাকি আড়াই ঘন্টা রাস্তা অতিক্রম করে খেলতে আসতে হচ্ছে। ফিরে যেতে আরো আড়াই ঘন্টা। যারফলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে দলগুলির মধ্যে।
ইস্টবেঙ্গল, গোয়া ও বেঙ্গালুরু থেকে শুরু করে আইলিগের অন্যতম দল আইজল এফসির তরফ থেকে ফেডারেশনে চিঠি পাঠানো হলেও কোনো লাভ হয়নি। সকলের একটাই প্রশ্ন কোচিতে অধিক সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কেন মাঞ্জেরীর মতো স্থানে সুপার কাপের মতো টুর্নামেন্ট আয়োজন করল এইএফএফ? যদিও এর কোনও উত্তর মেলেনি। এই নিয়েই গতকাল ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। আজ এই মাঞ্জেরীর পায়ানাদ স্টেডিয়ামে গোকুলাম কেরালা এফসির মুখোমুখি হবে এটিকে মোহনবাগান।