গত দুই থেকে আড়াই বছর ধরে নিজেদের স্বাভাবিক ছন্দে নেই ইস্টবেঙ্গল (East Bengal Club)। আইএসএলে অংশগ্রহণ করার পর থেকে এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি দলের সেই পুরোনো গতি। প্রত্যেক বছর ইনভেস্টর বদলের পাশাপাশি কোচ ও খেলোয়াড়দের বদল করা হলেও বদলায়নি পরিস্থিতি। চলতি বছরের আইএসএলে ও একেবারে হতশ্রী পারফরম্যান্স করেছে দল।
লিগ টেবিলের ৯ নম্বরে থেকেই নিজেদের অভিযান শেষ করেছে লাল-হলুদ শিবির। যা দেখে রীতিমতো ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে সমর্থক ও ক্লাব কর্তাদের। এই অবস্থায় দলের লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে প্রথম দফার বৈঠকের শেষে জানানো হয়, এবারের সুপার কাপের পরেই দায়িত্ব হারাবেন কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন।
তাহলে প্রশ্ন হল কে হবেন নতুন কোচ? এক্ষেত্রে বিগত কয়েকদিন ধরেই নেট মাধ্যমে উঠে এসেছে একাধিক নাম। যারমধ্যে রয়েছেন জোসেফ গাম্বাউ, আন্তোনিও লোপেজ হাবাস, স্টিভ কপেল ও সার্জিও লোবেরা। গত শুক্রবার পর্যন্ত প্রাক্তন ওডিশা কোচ জোসেফ গাম্বাউ এগিয়ে থাকলেও শনিবার বৈঠকের পর অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যান তিনি। আসলে এই কোচ নিয়ে ইমামির আগ্ৰহ থাকলে তাকে আনতে নারাজ লাল-হলুদ কর্তারা। আসলে রগচটা স্বভাবের জন্য তাকে দায়িত্ব দিতে নারাজ সাবেক কর্তারা। অন্যদিকে, অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাসের নাম কর্তাদের উইশ লিস্টে থাকলেও তার সাথে এখনো কোনও যোগাযোগ করেননি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
আগাগোড়াই বড় দলের পাশাপাশি নামি খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করতে অভ্যস্ত হাবাস। সেজন্য তাকে আনতে গেলে গতবারের তুলনায় ব্যাপকহারে বাজেট বাড়াতে হবে লাল-হলুদের লগ্নিকারী সংস্থা কে। যা বেশকিছু ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভব। পাশাপাশি কয়েকদিন ধরে স্টিভ কপেলের নাম ভেসে আসলেও বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তাঁকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের কোনো পরিকল্পনা নেই। তাহলে কাকে দেওয়া হবে দায়িত্ব? এক্ষেত্রে উঠে এসেছে আরেক হাইপ্রোফাইল কোচের নাম। সার্জিয় লোবেরা। বর্তমানে চিনের প্রথম ডিভিশনের ক্লাব সিচুয়ানের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বিরাট ট্রান্সফার ফি দিয়ে তাকেই কি চূড়ান্ত করবে ইমামি ইস্টবেঙ্গল? সেটাই দেখার।