ভুয়ো টিকার বহুল প্রয়োগ তাও আবার ক্যানসারের জন্য টিকা বলে চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তদন্তে উঠে এসেছে বাংলাদেশে (Bangladesh) হাজার হাজার মহিলাকে জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধক বলে যে টিকা (Ovarian Cancer Vaccine) দেওয়া হয়েছে তা ভুয়ো। রাজধানী ঢাকার (Dhaka) প্রায় ১৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী সহ ছয় হাজার নারী জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ভুয়ো টিকা দিয়ে একটি প্রতারক চক্র কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছে।
ভুয়ো টিকা নিয়ে কয়েকজন অসুস্থ। অভিযোগ পেয়ে তদম্তে নেমেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। তেজগাঁও বিভাগের (ডিবি) উপকমিশনার গোলাম সবুর জানান, ওই ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এমন খবর পেয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় তারা স্বীকার করে নকল ভ্যাকসিন দিয়েছে। গত সোমবার এই চক্রের চাঁই হিমেল ধরা পড়ে।
তদন্তে উঠে এসেছে, ঢাকার দক্ষিণখান ও কেরানীগঞ্জে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে টিকা বানানো হচ্ছিল। টাকা নিয়ে সেই টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছিল। তিন বছর ধরে বাংলাদেশে জরায়ু ক্যানসারের টিকা সেরাভিক্স আমদানি বন্ধ। এই সুযোগ নেয় প্রতারক চক্রটি। জানা গিয়েছে হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিনের একটি অ্যাম্পুল থেকে অন্তত ১০টি জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন বানিয়ে বিক্রি করছে চক্রটি।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, চোরাপথে ভারত থেকে হেপাটাইটিস বি এর ভ্যাকসিন আনতে অ্যাম্পুল প্রতি খরচ হয় ৩৫০ টাকা। একটি অ্যাম্পুল খুলে ১০টি অ্যাম্পুল বানানো হয়। পরে সেগুলোকে জরায়ু ক্যানসারের টিকা সেরাভিক্স বলে বিক্রি করা হয়। প্রতি টিকার দাম আড়াই হাজার টাকা
পুলিশ কর্তা গোলাম সবুর জানান, প্রায় ছয় হাজার নারীর কাছে জনপ্রতি তিনটি করে মোট ১৮ হাজার অ্যাম্পুল ভ্যাকসিন বিক্রি করেছে চক্রের সদস্যরা। প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা হাতিয়েছে তারা। ধৃতরা স্বীকার করেছে ঢাকা ও আশপাশের প্রায় ১৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করে নকল টিকা দেওয়া হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রী, শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের কাছে ভুয়ো ভ্যাকসিনের তিনটি করে ডোজ বিক্রি করা হয়েছে।