বলিউড অভিনেতা সলমন খান (Salman Khan) আবারও জেলে থাকা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সলমন খান হুমকিমূলক ইমেল পাওয়ার পর, তার দল মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পুলিশের কাছে একটি মামলা দায়ের করেছে। বান্দ্রা পুলিশ এই বিষয়ে আইপিসির ৫০৬(২), ১২০ (বি) এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। সেই সঙ্গে ইমেল পাওয়ার পর অভিনেতা সলমন খানের বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে মুম্বই পুলিশ।
অভিনেতা সলমন খানের অফিসে হুমকিমূলক ইমেল পাঠানোর অভিযোগে শনিবার কারাগারে থাকা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি ব্রার এবং রোহিত গর্গের বিরুদ্ধে মুম্বাই পুলিশ মামলা করেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, এই হুমকিমূলক ইমেলটি ১৮ মার্চ সলমন খান পেয়েছিলেন। সলমনের ম্যানেজারকে পাঠানো এই ইমেইলে অভিনেতার সঙ্গে কথা বলার কথা বলা হয়েছে।
ইমেইলে লেখা ছিল, “গোল্ডি ব্রারকে আপনার বস অর্থাৎ সলমন খানের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তিনি হয়তো সাক্ষাৎকারটি দেখেছেন, যদি না দেখে থাকেন তাহলে তাকে দেখতে বলুন। তুমি যদি ব্যাপারটা বন্ধ করতে চাও, তাহলে ব্যাপারটা সেরে ফেলো। যদি সামনাসামনি করতে চাও, তাহলে সেটাও বলো। আমি সময়মতো তোমাকে জানিয়েছি, পরের বার ধাক্কাটা দেখতে পাবে।”
পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা হত্যার প্রধান অভিযুক্ত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই পাঞ্জাবের বাথিন্দা জেলে বন্দী। গত সপ্তাহে একটি টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “সলমন খান যদি ক্ষমা চান, তাহলে বিষয়টি শেষ হয়ে যাবে। গত চার-পাঁচ বছর সলমনকে খুন করতে চাই। সালমানের ইগো রাবণের থেকেও বড়। সিধু মুসেওয়ালাও এমনই একজন অহংকারী ব্যক্তি ছিলেন।
বিষ্ণোই বলেছিলেন, সলমনের উচিত বিকানেরের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাওয়া। শুধু তাই নয়, সলমন খানকে হত্যা করাই তার জীবনের উদ্দেশ্য বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষ্ণোই একবার বলিউড অভিনেতা সলমন খানকে হত্যা করার শপথ করেছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৮ সালের কালো হরিণ মামলায় সলমনকে হত্যার হুমকি দেওয়ার পরে বিষ্ণোদের একজন ২০১৮ সালে ধরা পড়েছিল। বিষ্ণোইরা কৃষ্ণসারকে শ্রদ্ধা করে এবং এটিকে একটি পবিত্র প্রাণী বলে মনে করে।