বাংলাদেশ আলোড়িত। কারণ, জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির (Mahiya Mahi) ঠাঁই হলো জেলে। পুলিশ ঘুষ নিয়েছে বলে সামাজিক মাধ্যমে তিনি ও তাঁর স্বামী অভিযোগ করেছিলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাল়িউডের অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে ঢাকার গাজীপুর জেলে নিয়ে যাওয়া হয় অভিনেত্রীকে।
বাংলাদেশে এর আগে মাদক মামলায় জেলে যেতে হয়েছিল জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনিকে (শামসুন্নাহার স্মৃতি)। তিনি পরে জামিন পান। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙে তৈরি বাংলাদেশের ইতিহাসে পরীমণি ছিলেন প্রথম অভিনেত্রী যাকে জেলে যেতে হয়েছিল। এবার জেলে গেলেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি (শারমিন আকতার নিপা)।
- মাহিয়া মাহি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।
- তাঁর স্বামী রকিব সরকার আওয়ামী লীগের নেতা।
- এরা দুজনেই পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করতে বিষয়টি রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি করেছে। বিব্রত শেখ হাসিনার সরকার।
- সম্প্রতি বাংলাদেশের উপনির্বাচনে শাসক দল আওয়ামী লীগের হয়ে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন শারমিন আকতার নিপা (মাহিয়া মাহি)। তবে তাঁকে শেষপর্যন্ত প্রার্থী করেনি আওয়ামী লীগ।
অভিনেত্রী মাহিয়া ও তাঁর স্বামী রকিব সরকার ধর্মীয় রীতি মেনে সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে গেছিলেন। মক্কা থেকে দুজনেই ফেসবুক লাইভ করে ঢাকা মহানগর পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন। শুক্রবার মাহিয়া মাহির সেই লাইভের পর বাংলাদেশ জুড়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। বিতর্কের মুখে পড়ে বাংলাদেশ পুলিশ। এরপর পুলিশের তরফে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানহানির অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে। শনিবার মক্কা থেকে ঢাকায় ফিরতেই গ্রেফতার করা হয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে।
অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির অভিযোগ, তাঁর স্বামীর একটি গাড়ির শোরুম দুষ্কৃতিরা হামলা করে।অফিস তছনছ করে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন ও মামুন সরকার নামে দুজনের নেতৃত্বে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মাহি। পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নিয়ে হামলাকারীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি।
মাহির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তাঁর লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার। ফলে তিনি ফেসবুক লাইভ করে পুলিশের বিরুদ্ধেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করতেই বিতর্ক প্রবল আকার নেয়।